কর্তব্যরত এক রেলকর্মীর সঙ্গে তাঁর ঊর্ধ্বতন আধিকারিক দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার রাতে রেল হাসপাতালে সঞ্জীব দত্ত (৪৮) নামে ওই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়। তারপরে বৃহস্পতিবার খড়্গপুর ডিআরএম অফিসের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাল মেনস্ কংগ্রেসের ইলেক্ট্রিক্যাল জেনারেল বিভাগের কর্মীরা।
মেনস্ কংগ্রেসের দাবি, রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (জেনারেল) ডি কে হাজরা দীর্ঘদিন ধরে ওই কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। গত শনিবার তিনি ওই কর্মীকে নানা কটূক্তি করেন বলেও অভিযোগ। দুর্ব্যবহার মেনে নিতে না পারায় রবিবার থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জীববাবু। সোমবার তাঁকে রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সঞ্জীববাবুর মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার ওই বিভাগের মেনস্ কংগ্রেসের সদস্যরা রেল হাসপাতাল থেকে সঞ্জীববাবুর মৃতদেহ নিয়ে ডিআরএম অফিসে আসেন। এরপরে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযুক্ত আধিকারিকের বদলি ও মৃতের ছেলের একমাসের মধ্যে চাকরির দাবি জানান মেনস্ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেওয়া অবরোধ উঠে যায়। ইলেক্ট্রিক্যাল (জেনারেল) বিভাগের মেনস্ কংগ্রেসের সম্পাদক অজয় করের অভিযোগ, “ডি কে হাজরা দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের প্রতিটি কর্মীর সঙ্গে এ ভাবেই দুর্ব্যবহার করছেন। সঞ্জীব দত্ত প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও ডি কে হাজরা দুর্ব্যবহার ও নানা কটূক্তি করায় উনি মেনে নিতে পারেনি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘ওঁর মৃত্যুর জন্য ডি কে হাজরা দায়ী। তাই ওঁর উপযুক্ত শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে ওঁর পরিবারের একজনকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে।”
বিষয়টি নিয়ে এ দিন খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আপাতত অভিযুক্ত ওই আধিকারিক ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি থেকে ফিরলে কথা বলব। কাজের জন্য কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার ঠিক নয়। আমরা মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।”