প্রতীকী ছবি।
কল্যাণীর নার্সিংহোমে শিশুবদলের অভিযোগ এ বার হল মহকুমা শাসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার নৈহাটির মৌসুমী ঘোষ কল্যাণীর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান যে, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর সদ্যজাত পুত্র সন্তান বদলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার একই অভিযোগ হয়েছিল পুলিশের কাছেও।
অভিযুক্ত নার্সিংহোম মালিক চিকিৎসক শুধাংশু রায় জানিয়েছিলেন তাঁরা যে কোনও ভুল করেননি, তা প্রমাণ করতে ডিএনএ পরীক্ষা করাবেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা তারাই করাবে। শুধাংশুবাবু বলেন, ‘‘এটা পরিকল্পিত যড়যন্ত্র। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন।’’
৫ মে ওই নার্সিংহোমে সন্তান প্রসব করেন মৌসুমী। তাঁর স্বামী পার্থ ঘোষ সেনা-কর্মী। তাঁর অভিযোগ, সন্তান প্রসবের পরেই তাঁদের জানানো হয়েছিল, পুত্র সন্তান হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে জানানো হয়, কন্যা সন্তান হয়েছে। ছুটি দেওয়ার সময় সব কাগজপত্রেও পুত্র সন্তান বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই সময় হাসপাতালে ঝামেলা জুড়ে দেন পার্থবাবু। বুধবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। শুধাংশুবাবু বলেন, ‘আমাদের কাগজপত্রে সামান্য ভুল হয়েছিল। কিন্তু আমরা যে ঠিক তা প্রমাণ করে দেব।’’ শুধাংশুবাবুর দাবি, জন্মের পরেই মৌসুমীকে দেখানো হয়েছিল, তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। হাসপাতাল থেকে যখন ছুটি দেওয়া হয়, তখন স্বামীকে সে কথা তিনি জানিয়েওছিলেন। শুধাংশুবাবুর অভিযোগ, এই ঘটনায় কারওর প্ররোচনা রয়েছে। পার্থবাবুরা আবার শুধাংশুবাবুর এই বক্তব্যকে অসত্য বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার শুধাংশুবাবু বলেন, নিয়ম মেনেই আমি সদ্যজাত এবং মায়ের ডিএনএ পরীক্ষা করাব। তার খরচ আমিই বহন করব। পুলিশ জানিয়েছে, এ ভাবে যে কেউ চাইলে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে পারেন না। যেহেতু পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা তারাই করবে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। শুক্রবার পুলিশ আদালতের কাছে সেই আবেদন জানাবে। আদালতের অনুমতি মিললেই মা এবং শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তা পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেনসিক পরীক্ষাগারে।
ডিএনএ পরীক্ষায় যদি প্রমাণিত হয়, ওই কন্যা সন্তান মৌসুমীর নয়, তা হলে কী হবে। পুলিশ জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে সে দিন ওই হাসপাতালে যতগুলি শিশু জন্মেছিল সকলেরই ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।