চলছে দণ্ডিকাটা। —নিজস্ব চিত্র
ছিল কর্তাভজা সম্প্রদায়ের উৎসব। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো কল্যাণী ঘোষপাড়ার সতীমায়ের উৎসব আজ সাধারণের মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। দোলের দিন শুরু হয় উৎসব। চলে পাঁচদিন ধরে। মেলা চলে দু’সপ্তাহ ধরে।
কথিত আছে, ৪০০ বছর আগে কল্যাণী ঘোষপাড়ায় আসেন কর্তাভজা সম্প্রদায়ের গুরু আউল চন্দ্র। তাঁর স্ত্রী সরস্বতীদেবী অতি অল্প দিনেই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সেই সময় যখন মরণাপন্ন কলেরা-বসন্ত রোগীদের রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়াই ছিল রেওয়াজ। সরস্বতীদেবী সেই সব মরণাপন্ন রোগীদের সেবা করে সারিয়ে তোলেন। অচিরে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন সতী মা। কথিত আছে, বাড়ির উঠোনের ডালিম গাছ তলায় সিদ্ধিলাভ করেন তিনি। মৃত্যুর পর ভক্তেরা তাঁর মন্দির গড়ে পুজো শুরু করেন। আজও বাড়ির উঠোনে রয়েছে সেই ডালিম গাছ। মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য ভক্তেরা সেই গাছে ঢিল বাঁধেন।
দোলের আগের দিন থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তেরা মেলায় আসতে শুরু করেন। সারা রাত ধরে চলে বাউল গান। বুধবার শুরু হয়েছে সতীমায়ের উৎসব ও মেলা। মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, ভক্তের দল আসে বাংলাদেশ থেকেও। ভক্তেরা কেউ ‘হিমসাগর’ পুকুরে স্নান করে কেউ দণ্ডি কেটে মন্দিরে পুজো দেন।