মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। শনিবার কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তরুণ সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে সামনে রেখে যুবকদের কাছে টানার চেষ্টায় নেমেছে তৃণমূল। পার্থবাবুকে যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে এমন বার্তাই দিতে চাইছে দল। বিজেপি এই জেলায় তেড়েফুঁড়ে নেমেছে, বিশেষ করে তরুণ ও যুবকদের মধ্যে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। উল্টো দিকে, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগকে কেন্দ্র করে কমবয়েসীদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। সেই সময় কোচবিহারের মতো সীমান্তঘেঁষা জেলায় পার্থবাবু কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। পার্থবাবু অবশ্য বলেন, “যুব সংগঠন মজবুত রয়েছে। যুবরা দলের সঙ্গেই আছে।”
যুব সংগঠনের কোচবিহার জেলার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান। তাঁকে সরিয়ে পার্থবাবুকে আনা হয়েছে। সংগঠনের নেতাদের অনেকেরই যুক্তি, পার্থবাবুর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও তেমন কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি। অল্প সময়ের মধ্যে সাংসদ হিসেবেও তিনি নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন। সেই ‘ইমেজ’কে কাজে লাগিয়েই তরুণদের কাছে টানা সহজ হবে। আরেকটি পক্ষ অবশ্য যুক্তি দিচ্ছে, সাংগঠনিক দক্ষতা সব থেকে বড় কথা। পার্থবাবু শিক্ষক সংগঠন থেকে ওঠে এসেছেন। সেখানে তিনি যুব সংগঠনের মতো একটি জায়গায় কতটা সফল হবেন, তা সময়ের আগে বলা যাবে না। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। দল ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাল কাজে মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছেন। যুবরা দলের সঙ্গে আছেন।”
বিজেপি কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, সংগঠনে পরিবর্তন এনেও সফল হতে পারবে না তৃণমূল। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। একের পর ঘটনায় মানুষ ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের পাশ থেকে প্রতিদিন মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। যুবকরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। তাই পরিবর্তন এনেও কোনও লাভ হবে না।”