বিরোধীরা কুৎসা করছে, পাঁশকুড়ায় সরব অভিষেক

দলীয়ভাবে দুই মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম জেলা সফরে এলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁশকুড়ার পিডব্লিউডি ময়দানে দিনের প্রথম সভাটি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৫ ১৬:৩৮
Share:

দলীয়ভাবে দুই মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম জেলা সফরে এলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁশকুড়ার পিডব্লিউডি ময়দানে দিনের প্রথম সভাটি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছনোর পর মিনিট কুড়ির বক্তব্যে আগাগোড়া বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমকেই বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘সব বিরোধীদেরই প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। আর মিডিয়া যত আমাদের নামে কুৎসা করবে ততই আমাদের সমর্থন বাড়বে।’’

Advertisement

পাঁশকুড়ার এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তিনি আসেননি। সভাস্থলে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেই। গরহাজির ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীও। এমনকী জেলার রাজনীতিতে শুভেন্দু-অনুগামী হিসেবে পরিচিত অধিকাংশ বিধায়কও এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। স্বভাবতই এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি এ দিন মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের কাজে ( শুভেন্দু এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান) ব্যস্ত ছিলেন। তাই পাঁশকুড়ায় যেতে পারেননি।

যদিও কেশপুরের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সাংসদ দেব, ইন্দ্রনীল রায়-সহ দলীয় নেতৃত্ব। সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে জোট করে পশ্চিম মেদিনীপুরে আমরা দশটি আসনে জয় পেয়েছিলাম। এ বার জেলার ১৯টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে।’’ অভিষেক বলেন, ‘‘সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের অপদার্থতা ও ব্যর্থতার কারণে যদি সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করতে পারে। তবে সিপিএমের ৩৪ বছরের রাজত্বের পর মা-মাটি-মানুষের সরকার আগামী ৫০ বছর থাকবে।’’ কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমালোচতনাতেও সরব হন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement