দেশ কি শুধুই ভূগোল বইয়ের পাতায় আঁকা মানচিত্র? নাকি তার আকাশ-বাতাস-মাটি-মানুষ নিয়েই দেশ? দেশপ্রেম কাকে বলে? দেশকে ভালবাসা যায় কী ভাবে? দেশের শত্রুই বা কারা? কী ভাবে চিহ্নিত করা যাবে তাদের? এই কথাই স্কুলের ছেলেমেয়েদের জানাতে চায় পুলিশ-বিএসএফ। জানাতে চায়, ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসের কথা। ভারতের মণীষীদের জীবনের কাহিনি। উদ্দেশ্য একটাই, ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেশাত্মবোধ তৈরি। দেশের মানুষের জন্য ভালবাসার বীজ বপন।
সীমান্তে শুধু পাহারায় অনুপ্রবেশ বা সন্ত্রাসবাদের সমস্যার মোকাবিলা অসম্ভব। চাই শিক্ষা। স্কুল-স্তর থেকেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেশ ও দেশের মানুষের ভালমন্দ নিয়ে সচেতনতা তৈরি। বিশ্বে জঙ্গি তৎপরতা যে ভাবে বেড়েছে, তার মোকাবিলায় ছেলেমেয়েদের মধ্যে অল্পবয়স থেকে নিজের দেশ সম্পর্কে, মানবজাতি সম্পর্কে আবেগ তৈরির দরকার বলে মনে করছেন নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞেরা। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় জড়িত তরুণেরা সকলেই নামকরা স্কুল-কলেজের ছাত্র, সম্ভ্রান্ত ঘরের সন্তান।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত-লাগোয়া স্কুলগুলিতে যৌথ প্রচারের ব্যবস্থা করছে বিএসএফ এবং পুলিশ। তবে জেলার সীমান্তবর্তী বাকি এলাকাতেও প্রশিক্ষণ চালানো হবে। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তে যৌথ টহলদারিও শুরু হয়েছে। বুধবার স্বরূপনগর থানায় বিএসএফ ও পুলিশের বৈঠক হয়েছে। এসডিপিও শ্যামল সামন্ত জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই বসিরহাট মহকুমার সীমান্তবর্তী ৬টি থানা এলাকার স্কুলে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে।