নয়া নেত্রী পেল হংকং, কর্তা কিন্তু বেজিংই!

বেজিং ছড়ি ঘোরাতেই ফের ভেস্তে গেল আন্দোলন। খারিজ হয়ে হয়ে গেল সাধারণ ভোটের আর্জিও। প্রশাসনিক স্তরে হংকংয়ের পরবর্তী নেতাকে শেষমেশ বেছে নিল বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছোট্ট একটা নির্বাচন কমিটিই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

জয়ী: রবিবার হংকংয়ে ক্যারি ল্যাম। ছবি: রয়টার্স

বেজিং ছড়ি ঘোরাতেই ফের ভেস্তে গেল আন্দোলন। খারিজ হয়ে হয়ে গেল সাধারণ ভোটের আর্জিও। প্রশাসনিক স্তরে হংকংয়ের পরবর্তী নেতাকে শেষমেশ বেছে নিল বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছোট্ট একটা নির্বাচন কমিটিই। শহরের প্রথম মহিলা চিফ এগজিকিউটিভ হলেন ক্যারি ল্যাম (৫৯)। প্রভূত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও প্রাক্তন অর্থ সচিব জন সাং আটকে গেলেন ৩৬৫-র গেরোয়। আর বেজিংপন্থী ল্যাম পেলেন ১,১৬৩-র মধ্যে ৭৭৭টি ভোট।

Advertisement

তবে এমনটা যে হতে পারে, আশঙ্কা ছিলই। দিন কয়েক আগে থেকেই তাই ‘হলুদ ছাতা’ মাথায় রাস্তায় নামতে শুরু করেছিলেন হংকংবাসীর একটা বড় অংশ। গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবিতে ২০১৪ থেকেই হংকংয়ে চলছে এই ‘ছাতা আন্দোলন’। কিন্তু তিন বছরেও পরিস্থিতি যে একটুও বদলায়নি, আজ ভোটের ফলেই তা প্রমাণ হয়ে গেল। কারা দিলেন ভোট? হংকংয়ের জনসংখ্যা এই মুহূর্তে ৭৫ লক্ষের কাছাকাছি। কিন্তু নেতা বাছাইয়ের ক্ষমতা রয়েছে শুধু ১২০০ জনের একটি নির্বাচনী কমিটির হাতে। প্রথম থেকেই যার মাথায় রয়েছেন শহরের বেজিংপন্থী তাবড় শিল্পপতিরা।

প্রশাসনের নয়া মুখ ঘোষণা হতেই তাই হতাশায় ভেঙে পড়লেন বছর বাইশের ছাত্র এরিক সাং। আজও তিনি দাঁড়িয়েছিলেন গণনাকেন্দ্রের ঠিক বাইরের রাস্তাটায়। বললেন, ‘‘চিনা পদ্ধতিতে এই নেতা বাছাইয়ের ব্যাপারটাই একটা হাস্যকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে। জনমত সমীক্ষা বলল— প্রাক্তন অর্থ সচিব জন সাং এগিয়ে আছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেদের লোককেই বেছে নিল বেজিং।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: জীবনভর সংগ্রহ করে গেছেন পোকামাকড়, দাম কোটি ডলার, কিন্তু...

হংকংয়ের একটা অংশ তবু পিছু হটতে নারাজ। আজ ভোটের ফল ঘোষণার পরেই বেজিংপন্থীদের একটা অংশকে ল্যামের হয়ে গলা ফাটাতে শোনা যায়। সরকারি ভাবে ১ জুলাই ক্ষমতায় আসছেন তিনি। কিন্ত ল্যামের আগামী দিন যে সহজ হবে না, তার ইঙ্গিতও মিলেছে আজই।

ল্যামে নয়, আপত্তি মূলত বেজিংয়ের নাক গলানোতেই। না হলে, আমলা হিসেবে ক্যারি ল্যামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। শহরের ডেপুটি চিফ একজিকিউটিভ এখনও তিনিই। শহরের বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর আমলেই। আজ ফল ঘোষণার পরেই তিনি বলেন, ‘‘ধন্যবাদ সকলকে। আপাতত আমার একটাই লক্ষ্য— মানুষের মধ্যে যে হতাশা আর বিভেদ রয়েছে, সেটা দূর করা। একসঙ্গেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।’’

কিন্তু ছাতা ধরে রাখা প্রতিবাদীরা কী বলছেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্তাই জানান, ‘‘১ জুলাই বড়সড় আন্দোলন হতে চলেছে। ওই দিন অফিসে আসছেন ল্যাম। আজ থেকে বিশ বছর আগে ওই দিনই চিনা শাসনের অধীনে এসেছিল হংকং।’’ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ১ জুলাই হংকংয়ে প্রথম বার পা রাখার কথা চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের। বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন তিনিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement