আগামী বুধবার সন্ধ্যায় টেরিজার হাতেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার তুলে দিতে চলেছেন ডেভিড ক্যামেরন। মার্গারেট থ্যাচারের পর সম্ভবত টেরিজা মে-কেই দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে চলেছে ব্রিটেন। কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা এবং ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিজা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে হঠাৎই নাটকীয় ভাবে ব্রিটেনের শক্তি-মন্ত্রী আন্ড্রিয়া লিডসোম সরে দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দলের অন্দরেই ভোটের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল লিডসোমের ও টেরিজার। কিন্তু আচমকাই তিনি সরে দাঁড়ানোয় টেরিজার প্রধানমন্ত্রী হওয়া পথ আরও মসৃণ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ‘সব পেয়ে গিয়েছি’, বলে ইস্তফা নাইজেলের
প্রায় দু’দশক হয়ে গেল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে কোনও মহিলাকে দেখা যায়নি। ফের সেই সুযোগ করে দিল ব্রেক্সিটের রায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার রায়ের জেরে ডেভিড ক্যামেরনের বিদায় আসন্ন। আর তার পরেই হয়তো সেই আসনে বসতে চলেছেন ‘রিমেন-পন্থী’ এই নেত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে দুই নেত্রীর নাম উঠে আসার পর থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের পছন্দের প্রার্থী কে তা পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু বুকিরা টেরিজার দিকেই বাজি ধরেছিল। এই নির্বাচনের ফল প্রকাশের কথা ছিল আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। আর টেরিজা ও আন্ড্রিয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা বেছে নেওয়ার জন্য কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার সদস্যের ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই প্রতিযোগিতা থেকে লিডসোম সরে দাঁড়ানোয় টেরিজা মে’র জন্য দ্রুত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দরজা খুলে গেল।