ঘুড়ির লড়াই: ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার জাকার্তায় ঘুড়ি প্রদর্শনীর পরে। ছবি: এএফপি।
গুজরাতে ঘুড়ির উড়ান আর ‘কাই পো চে’র (ভোকাট্টা) টক্কর দারুণ জনপ্রিয়। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাতেও ঘুড়ির সমাদর জমজমাট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ইন্দোনেশিয়া সফরের প্রথম দিনই তাই সে দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে পাশে নিয়ে লাটাই ধরলেন। উদ্বোধন করলেন ঘুড়ি প্রদর্শনী। থিম, ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্য অনুসারে রামায়ণ ও মহাভারত।
রাম-কূটনীতি প্রথম নয় মোদী সরকারের। এই বছরের গোড়াতেই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয় সাউথ ব্লক। নয়াদিল্লিতে আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলিকে নিয়ে বছরের গোড়ায় যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও রামায়ণকে সামনে আনা হয়। চলতি সফরেও তার অন্যথা হয়নি। জাকার্তার লেয়াং লেয়াং ঘুড়ি মিউজিয়াম এবং আমদাবাদের ঘুড়ি মিউজিয়ামের মধ্যে সাংস্কৃতিক চুক্তিও হয়েছে। সাউথ ব্লকের মতে, ‘‘আসিয়ান দেশগুলিতে রামায়ণ জনপ্রিয় মহাকাব্য। ফলে দু’দেশের সম্পর্কের সুপ্রাচীন ভিতটি সামনে নিয়ে এলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করবে।’’ ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশে জৈন সংস্করণে রাম অহিংসার পূজারি। লক্ষ্মণকেই রাবণ বধ করতে হয়। লক্ষ্মণ-রাবণের স্থান হয় নরকে। রাম জৈন সাধু হয়ে মোক্ষলাভ করেন। ইন্দোনেশীয় গায়কের গলায় ‘সবরমতী কে সন্ত’ গান শুনেও এ দিন মুগ্ধ মোদী।