আমরা পুড়ে যাচ্ছি, ফেসবুকে লিখে যায় কিশোরী

ভিড়ে ঠাসা উইন্টার চেরি শপিং মলের আগুনে রবিবার ৬৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। আজ জানা গেল, সাইবেরিয়ার কেমেরোভো-র ওই শপিং মলে নিহত ৬৪ জনের মধ্যে ৪১ জন স্কুলপড়ুয়া। সব মিলিয়ে ওই কিশোর-কিশোরীদের গোটা ক্লাস স্রেফ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

ভিড়ে ঠাসা উইন্টার চেরি শপিং মলের আগুনে রবিবার ৬৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। আজ জানা গেল, সাইবেরিয়ার কেমেরোভো-র ওই শপিং মলে নিহত ৬৪ জনের মধ্যে ৪১ জন স্কুলপড়ুয়া। সব মিলিয়ে ওই কিশোর-কিশোরীদের গোটা ক্লাস স্রেফ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সে দিন বিকেলে বেরনোর কোনও পথই খুঁজে পায়নি পড়ুয়ারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই শপিং মলের প্রস্থান পথ বন্ধ করা ছিল। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে কেউ কেউ কাঁদতে কাঁদতে ফোন করে খবর দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাবা-মাকে। বোনঝি ভিকার কাছ থেকে এমন ফোন পেয়েছেন ইয়েভগেনিয়া নামে এক তরুণী। সে বলেছে ‘‘আমি খুব ভালবাসি মাকে, মনে করে একটু বলে দিয়ো।’’ কেউ কেউ আবার ফেসবুকে লিখে গিয়েছে, ‘‘আমরা পুড়ে যাচ্ছি, এই হয়তো শেষ কথা!’’ মারিয়া নামে ১৩ বছরের এক কিশোরী লিখে গিয়েছে এই পোস্ট। ওই পোস্টে আরও ৩০ জন ‘গুডবাই’ লিখেছে, যারা আর কোনও দিন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অনেকে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ক্ষোভ কমেনি স্বজনহারাদের। তাঁরা বলছেন, এখনও ৮৫ জনের খোঁজ নেই। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকারি দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তিনশো লোক।

কেমেরোভোর অদূরে স্কুলটি থেকে একটি গোটা ক্লাসই রবিবার চলে আসে সিনেমা দেখতে। হল থেকে আর বেরোনো হল না ওদের। দুই মেয়েকে হারিয়ে এক বাবা বাকরুদ্ধ। ছুটে যান দমকলকর্মীর কাছে। একটা মুখোশ পেলে যদি মেয়েদের বাঁচানো যায়। কিন্তু দমকলকর্মীরা অন্য দিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে যান বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর হাতে মুখোশ দেওয়া নিয়মে পড়ে না, এমনও বলা হয় তাঁকে। এখন তিনি বলছেন, নিয়মই কেড়ে আমার মেয়ে দু’টোকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement