কমবয়সিদের মধ্যে তাঁর সাজের কায়দা দারুণ জনপ্রিয়। তাঁর ইনস্টাগ্রাম খুললেই বোঝা যাবে নানা রকম ভাবে সাজতে পছন্দও করেন তিনি। পুজোর সময়ে তাই কী ভাবে সাজবেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা বসু, তা নিয়ে একটা কৌতূহল থাকে সকলের মধ্যেই। কথাটা শুনে অবশ্য হেসে উড়িয়ে দিলেন তিনি নিজে, ‘‘আমি নিজেকে একদমই স্টাইল আইকন ভাবি না। অন্যরাই বলেন। আমি যাতে স্বচ্ছন্দবোধ করি, তাই পরি।’’
অভিনেত্রী যা-ই বলুন, সাজগোজ নিয়ে যে যথেষ্ট সচেতন, তা বোঝা গেল ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এর ফোটোশ্যুটে। কেশসজ্জা কেমন হবে, চোখের সাজ কেমন হবে, কোন শা়ড়ির সঙ্গে কোন গয়না পরা হবে, সব কিছুর উপরেই কড়া নজর তাঁর। জানালেন, পুজোর পাঁচ দিন শাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পোশাক পরেন না। কারণ সারা বছর বেশির ভাগ সময়ে ডেনিম আর টি-শার্টেই দেখা যায় তাঁকে। তবে সাজ-পোশাক নিয়ে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন অনিন্দিতা। কখনও নানা রকম ড্রেস, কখনও স্কার্ট-ক্রপ টপ, কখনও আবার জ্যাকেট-পালাজো— প্রায় সব পোশাকই পাওয়া যাবে অনিন্দিতার আলমারিতে।
সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ‘রে’ মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। তারপর থেকে মুম্বইয়ের কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে গিয়েছে অনিন্দিতার। তাই বেশির ভাগ সময় কাটে মুম্বইয়েই। কিন্তু পুজোর কী পরিকল্পনা? কলকাতা না মুম্বই— কোথায় থাকবেন তিনি? জানালেন, খুব ইচ্ছে কলকাতাতেই থাকার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনও কাজ পড়ে গেলে মুম্বইয়েই থাকতে হবে। তাতে অবশ্য খুব অসুবিধা হবে না তাঁর। কারণ তাঁর ছোটবেলা মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালার পুজো দেখেই কেটেছে।
যা-ই বলুন, ফ্যাশন-দুনিয়ায় একটা জায়গা করে নিতে পেরেছেন অনিন্দিতা। তাই পুজোয় অন্যরা কী ভাবে সাজবেন, তার পরামর্শ চাওয়া হল অনিন্দিতার কছে। ‘‘এখন নেটমাধ্যমের দৌলতে অন্যকে অনুকরণ করা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন ভাবে সাজতে হবে যাতে আপনার নিজস্ব সত্তাটা হারিয়ে না যায়। যে পোশাকে আপনি সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ, সেটাই পরুন,’’ বললেন অভিনেত্রী।
অনিন্দিতা নিজে কী ভাবে পোশাক বাছেন। ‘‘যা যা ভাল লাগে আমি সেই ছবিগুলো বেছে ডাউনলোড করে রাখি। সেই অনুযায়ী কেনাকাটা করি। কোথাও যাওয়ার আগে নিজের ঘরেই একটা ছোটখাটো ফ্যাশন শো হয়ে যায়। কী ভাবে সাজলে ভাল লাগছে দেখে নিই,’’— হাসতে হাসতে বললেন অনিন্দিতা।