Advertisement
Ridhima shares her emootion

‘‘চাইব যেন মা ফিরে আসে’’- মন ভাল আর মন খারাপের গল্প নিয়ে পুজোর অপেক্ষায় ঋদ্ধিমা

বরাবরই ডানপিটে আর ছটফটে তিনি। তাই তাঁর গল্পগুলোও অন্য রকম। ব্যাতিক্রম নয় পুজোর স্মৃতিও। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে আড্ডার মেজাজে তারই ঝুলি উপুড় করলেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ।

ঋদ্ধিমা'র গল্পগুলো অন্য রকম

ঋদ্ধিমা'র গল্পগুলো অন্য রকম

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪১
Share: Save:

অভিনেত্রী জানালেন, ছোটবেলার পুজোর বেশির ভাগটাই তাঁর কেটেছে এলাহাবাদে, মামাবাড়িতে। সেখানে পুজোর আনন্দ যথেষ্ট থাকলেও, কলকাতার মতো এত পাড়ায় পাড়ায় পুজোর চল নেই। দু’টি বড় পুজো টেগোর টাউন ও জর্জ টাউনের স্মৃতি এখনও তাঁর মন জুড়ে। পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে যেত যখন তিনি মায়ের কাছ থেকে পেতেন অন্তত ১০টি নতুন পুজোর জামা! কলকাতায় থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার মণ্ডপে আড্ডা দিয়ে আর ক্যাপ বন্দুক ফাটিয়ে পুজোর উদযাপন ছিল বাঁধা। এখনও যে দিনগুলো তাঁকে চুম্বকের মতো টানে!

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর ঘরনির পুজোর গল্প। কাজের সুত্রে অনেক বড় আর ভাল পুজো দেখা হয়ে যায় ইদানীং। তাই আলাদা পরিকল্পনা করে সবাই মিলে ঠাকুর দেখতে যাওয়া আর হয়ে ওঠে না। সারা বছর, বিশেষত সপ্তাহের শেষে অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকায় পুজোর দিনগুলো কেবলই নির্ভেজাল আড্ডার জন্যও তোলা থাকে। এ বছর যেমন পুজোয় গৌরবের মামা-মামি আসছেন দিল্লি থেকে- জানালেন ঋদ্ধিমা। তাঁদের সঙ্গে অন্য ভাবে পুজো কাটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে এমনিতে সপ্তমী অবধি কাজের পরে তিন দিনের ছুটি উড়ে যায় বন্ধুদের বাড়িতে আড্ডাতেই!

তা হলে তিনি এখন ছোটবেলার পুজোর টিমে নাকি দল বদলে বড়বেলার পুজো-প্রেমী? ঋদ্ধিমার অকপটে জবাব, এখনও তিনি ১০০ শতাংশ ছোটবেলার পুজো টিমের সদস্য! ক্যাপ বন্দুক ফাটানো, নতুন জামার অপেক্ষায় কাটানো দিনগুলোর তুলনাই হয় নাকি! বড়বেলার পুজোয় সেই আমেজটাই নেই। বরং তার চেয়ে বাবা মা, দাদু, ঠাকুমা ও ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো ছোটবেলাটাই ফিরে পেতে চাইবেন বার বার।

ডানপিটে কন্যের কৈশোর প্রেমের স্মৃতি নেই? ঋদ্ধিমা হেসে বলেন, “ছোট থেকে আমার বেশির ভাগ বন্ধুই ছেলে। তাদের সঙ্গে প্রেম করব কী! উল্টে আমিই ওদের প্রেমে সাহায্য করে দিতাম পুজোর সময়ে।” পাড়া বা পাশের পাড়ার কাউকে মনে ধরেনি তা হলে? অভিনেত্রীর দাবি, “সেখানে যারা ছিল, তাদের সঙ্গে বিবেকা্নন্দ পার্কের মাঠে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। প্রেম আর হবে কী করে?”

মনের কোনও গোপন ইচ্ছে যদি বর হিসেবে চেয়ে নিতে পারতেন এই পুজোয়? এ বার চোখের কোণে বাষ্প জমে অভিনেত্রীর। এত ক্ষণের হাসিখুশি, উজ্জ্বল ঋদ্ধিমা ধরা গলায় বলেন, “আমি তেমন কিছু চাইতে পারি না কোনও দিন। তবে সম্ভব হলে চাইব যেন আমার মা ফিরে আসেন। ব্যস!”

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE