আর্দ্রতার কারণে গুমোট গরম হোক, ঝড়-বৃষ্টি বা ঝকঝকে মনোরম শারদ আবহাওয়া— পুজোর ক’দিন সেজেগুজে বাঙালির সেলিব্রেশন চাই-ই চাই। উৎসবমুখর বাঙালির কথা ভেবেই এই সময় কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁগুলিতে থাকে নানা বাহারি খাবারের সম্ভার। মোগলাই, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল কী নেই সেখানে! তবে চিরচেনা রেস্তরাঁ ধারণা থেকে একটু সরে কলকাতা এখন কাফেগামী। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ জুড়ে হরেক থিমের কাফে শপগুলিই এখন আড্ডা দেওয়ার নতুন ঠিকানা। শুধু আড্ডাই নয়, নানা প্রকাশনার পছন্দের বই নিয়েও সেজে উঠছে কাফেগুলো। আড্ডা, চা/কফি, খাবার আর বই— বাঙালির অবসর কাটানোর জন্য আর কীই বা চাই!
এই পুজোতে এমনই আড্ডার আমেজ নিতে ঘুরে আসতে পারেন যোধপুর পার্কের ‘আবার বৈঠক’ কাফে থেকে। এই কাফের স্পেশালিটিই হল ফেলুদা আর মগনলালালের ছোঁয়াচ। সঙ্গে আড্ডা। রেস্তরাঁর অন্দরসজ্জা থেকে নানা ডিশের নামকরণ— সবেতেই ফেলুদার প্রসঙ্গ। সত্যজিৎ ও ফেলুদা-ভক্ত খাদ্যরসিক স্বরলিপি চট্টোপাধায়ের ভাবনাতেই মজাদার নামের অসম্ভব সুস্বাদু রেসিপি ও অন্দরসজ্জা এদের ইউএসপি।
শেফ ভিনসেন্ট মুকুল রোজারিওর হাতের গুণে সকালের ব্রেকফাস্ট, বিকেলের জমজমাটি স্ন্যাক্স আর রাতের ডিনার সারতে আসা আড্ডাবাজ খাদ্যপ্রেমীদের ভিড় লেগেই রয়েছে এই কাফেতে। কাফে বলেই মেনুতে রয়েছে নানা ধরনের চা, কফি আর মকটেল। তবে খাবারের ভাগেও কম যায় না এই কাফে। চিকেন প্ল্যাটার, গ্রিলড ফিশ লেমন বাটার সস, ফিশ অ্যান্ড চিপস্, চকোলেট মেঘরাজ, অরেঞ্জ মোইতোর মতো নানা রকমারি ফিউশন পদ ও পানীয়তে ঠাসা মেনুকার্ড জিভে জল আনবে।