আমার ইহজীবনে যত মানুষের হাতের রান্না খেয়েছি, তাঁদের মধ্যে যদি দু’জনের নাম বলতে হয়, আমি বলব আমার দিদিমা আর মুকুলমাসির নাম। মুকুলমাসি আমার বন্ধুপত্নীর মা। ঢাকায় তাঁদের ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ধনসম্পত্তি ও প্রতিপত্তি। তাঁর বাবার এক দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতের পর অংশীদারের চক্রান্তে সব যায়। আমি নিজে ঢাকার উয়ারিতে তাঁদের অট্টালিকা দেখে এসেছি। সেখানে এখন অন্য লোকেরা থাকে। মেসোর বাবা ছিলেন কট্টর গাঁধীবাদী আর তাই কোনও দিন মেসোদের আমিষ খেতে দেননি। মুকুলমাসি মেসোর জন্য নানান নিরামিষ পদ করতেন, আর মেয়ের জন্য আমিষ। সে সব রান্নার স্বাদ কোনও দিন ভোলার নয়। সাধারণ জিনিস দিয়ে যে এত অসাধারণ পদ তৈরি হতে পারে, তা না খেলে বিশ্বাস করা যায় না। তা ছাড়াও তিনি ছিলেন গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ছাত্রী। শিল্পীদের সব কাজেই বুঝি সৌন্দর্যের ছোঁয়া থাকে। মুকুলমাসি চলে গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর হল। কিন্তু এ রান্নার প্রতি ছত্রে ধরা আছে তাঁর স্মৃতি।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মতো ডেজার্ট বানান বাড়িতেই