বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, বিশেষ বিশেষ ধরনের আলো ঘরে থাকলে সেই ঘরের মানুষের মনও ভাল থাকে
কলকাতা শহরে এই মাত্র কয়েক দশক আগেও আলো বলতে ভরসা ছিল দিনে সূর্যালোক আর রাতে হ্যারিকেন কিংবা মোমের আলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে গ্যাসের আলো জ্বালাতে নিয়মিত আনাগোনা করতেন কিছু মানুষ। অথচ অল্প সময়েই বিদ্যুতের আলো এর পর সারা কলকাতা শহরকে উজ্জ্বল করে তোলে। আর এখন এই শহরের মানুষ শুধু ঘর আলোকিত করার জন্য, জরুরি কাজ করতে বা অন্ধকার দূর করতে আলো জ্বালায় না। আলো দিয়ে নিজের বাসস্থানের চেহারাও বদলে ফেলার চেষ্টা করে। বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, বিশেষ বিশেষ ধরনের আলো ঘরে থাকলে সেই ঘরের মানুষের মনও ভাল থাকে। আর কলকাতা শহরের নানা জায়গায় অন্দরসাজের জন্য বিভিন্ন মূল্যের আলো, ঝাড়বাতি, বাল্ব, টুনি লাইট কিনতে পাওয়া যায়।
চাঁদনি মার্কেট
নিউ মার্কেটের খুবই কাছে চাঁদনি মার্কেটের ভিতর বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম খুব অল্প মূল্যেই পাওয়া যায়। ঘর সাজানোর জন্য কম খরচে বিভিন্ন নকশার আলো কিনতে এখানে আসতেই হবে। বিশেষ করে দীপাবলি বা অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠানের সময়ে হরেক রকম আলো কেনার জন্য এই অঞ্চলে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। চাঁদনি মার্কেটে আপনি পাবেন অনেক রকম ডিজাইনের টুনি লাইটও।
লাইট স্কোয়ার
টালিগঞ্জের মুদিয়ালির কাছে লাইট স্কোয়ার নামের এই দোকানে দামি ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে ঘরের বিভিন্ন ধরনের আলো পাবেন। শুধু বাসস্থানই নয়, অফিস, স্যাঁলোর অর্ডার মতো আলো দিয়ে সাজিয়ে দিয়ে আসেন এখানকার কর্মীরা।
বিদেশি সংস্থার দামি আলোর সন্ধান করতে চাইলে শেক্সপিয়র সরণির দোকান হতে পারে ভরসা।
মহল ল্যাম্প শেড
অতিমারির প্রকোপে এখন বেশির ভাগ মানুষকেই কাজ করতে হচ্ছে ঘরে বসে। এই সময়ে পড়াশোনা বা জরুরি কাজের জন্য টেবিলে নরম আলো থাকলে সুবিধা হয় বইকি! মিন্টো পার্কের বিপরীতে মহল ল্যাম্প শেডে আপনি এই প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারেন। সময় নিয়ে গেলে এখানে আপনি খুঁজে পাবেন নিজের পছন্দসই আলো।
শেক্সপিয়র সরণি
এই রাস্তায় এসি মার্কেটের পরেই পরপর বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে, যেখানে আপনি পেয়ে যেতে পারেন নিজের ঘরের জন্য উপযুক্ত আলো। সুবিশাল ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে শোয়ার ঘরে আলো-আঁধারি ভাবের জন্য উপযুক্ত ছোট্ট ছোট্ট আলোর বল, সবই আপনি পাবেন এখানে। বিদেশি সংস্থার দামি আলোর সন্ধান করতে চাইলেও এই অঞ্চলের দোকান হতে পারে ভরসা।