BSNL

৫জি পরিষেবা চালু করবে বিএসএনএল, আগামী অর্থবছর ৪৭ হাজার কোটি দেবে কেন্দ্র

দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবা চালুর জন‍্য সংস্থাটিকে এই টাকা দেওয়া হবে। গত অর্থবর্ষে ২৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে এই বিরাট আর্থিক সহায়তার পরেও বিএসএনএলের হাল কতটা ফিরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:০০

—প্রতীকী চিত্র।

সারা দেশে দেশীয় প্রযুক্তিতে বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই। এ বার বেসরকারি টেলি সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাতে তারা পাল্লা দিতে পারে, সে জন্য আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে ৪৭,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।

এ দফায় দেশজুড়ে ৫জি পরিষেবা চালুর জন‍্য সংস্থাটিকে এই টাকা দেওয়া হবে। গত অর্থবর্ষে ২৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে এই বিরাট আর্থিক সহায়তার পরেও বিএসএনএলের হাল কতটা ফিরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের ৩.২২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরেও বেসরকারি সংস্থাগুলি যখন ৫জি পেরিয়ে ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছে, তখন সবেমাত্র ৪জি এনেছে বিএসএনএল। উপরন্তু গ্রাহক পিছু আয়ের (আরপু) নিরিখেও অন্যান্য সংস্থার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। বর্তমানে তা প্রায় ৯২ টাকা। অন্যান্য সংস্থার সেখানে কম করেও ১৮০ টাকা থেকে শুরু।

সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বক্তব্য, অন্যান্য সংস্থার একাংশ যখন টানা গ্রাহক হারাচ্ছে, তখন ২০২৪ থেকে ধারাবাহিক ভাবে গ্রাহক বেড়েছে বিএসএনএলের। বর্তমানে তা প্রায় ৯.৩ কোটি। শেষ এক বছরেই যোগ হয়েছে ১ কোটির বেশি। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশজুড়ে ৪জি পরিষেবা চালু করেছে তারা। তার জন‍্য সারা দেশে প্রায় ১ লক্ষ সাইটও খোলা হয়েছে। চলতি বছর আরও ২৩,০০০ সাইট খুলতে কেন্দ্রের থেকে ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে। যা পেলে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবার মান আরও উন্নত হবে বলেই দাবি সংস্থার। এই নতুন সাইটের জন‍্য কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সাহায্য প্রয়োজন বলেই খবর। চলতি অর্থবর্ষে বিএসএনএলকে প্রায় ৭,০০০ কোটির অতিরিক্ত সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্র। পরের দফায় সাহায্য পেলে তারা প্রতিযোগিতায় এগোতে পারবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

যদিও অন্য অংশের মতে, সাহায্য পেলেও বিএসএনএল কত দ্রুত হাল ফেরাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, তাদের পরিষেবা এখনও বেসরকারি সংস্থাগুলির সমকক্ষ নয়। গত এক বছরে খানিকটা হাল ফিরলেও, পরিষেবার মান আরও ভাল না করলে গ্রাহক ধরে রাখা মুশকিল। তার উপরে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এয়ারটেলের আরপু হয়েছে ২৫৬ টাকা। রিলায়্যান্স জিয়োর ২১১.৪ টাকা, ভোডাফোন আইডিয়ার ১৮০ টাকা। সেখানেই অনেকটা পিছিয়ে বিএসএনএল। সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতে ইতিমধ্যেই আরপু বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার লক্ষ্য স্থির করতে নির্দেশ দিয়েছেন টেলিকমমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত‍্য সিন্ধিয়া। এখন দেখার কেন্দ্রের পুঁজির সাহায্য নিয়ে দু’তিন বছরে এই লক্ষ‍্যমাত্রা কতটা পূরণ করতে পারে বিএসএনএল।

আরও পড়ুন