Retail Inflation

শাক-সব্জি থেকে মাছ-মাংস, দুধ, খুচরো বাজার আরও সস্তা হওয়ায় স্বস্তি! জুনে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ২.১%

চলতি বছরের জুনে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২.১ শতাংশে নেমে যায় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর এতে কখনই এতোটা পতন দেখা যায়নি। খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার জের, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫২
Representative Picture

প্রতীকী ছবি।

ফের কমল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। খুচরো বাজারে সস্তা হয়েছে খাদ্যদ্রব্য। সোমবার, ১৪ জুলাই পরিসংখ্যান দিয়ে সেই খবর প্রকাশ করে কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দাবি, চলতি বছরের জুনে ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই (কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে ২.১ শতাংশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর যেটা সর্বনিম্ন।

Advertisement

এ দিন খুচরো ও পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, এ বছরের মে মাসের তুলনায় জুনে সিপিআই কমেছে ৭২ বেসিস পয়েন্ট। ফলে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২.১ শতাংশে নেমে এসেছে। গত মে মাসে সিপিআই ভিত্তিক এই মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২.৮২ শতাংশ। আর ২০২৪ সালের জুনে মূল্যবৃদ্ধির সূচক দাঁড়িয়েছিল ৫.০৮ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সিপিআই ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল সর্বনিম্ন। ওই সময়ে সূচক ১.৯৭ শতাংশে গিয়ে থেমে যায়। পরবর্তী ছ’বছরে আর কখনই মুদ্রাস্ফীতির হারকে এতোটা নামতে দেখা যায়নি। এর জন্য শাক-সব্জি, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য, মাছ-মাংস, শস্য জাতীয় খাবার, চিনি ও মিষ্টি এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সস্তা হওয়াকে দায়ী করেছে পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক।

খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি পাইকারি ভোক্তা সূচকেও নিম্নমুখী হতে দেখা গিয়েছে। গত জুনে এটি -০.১৩ শতাংশে নেমে যায়। শেষ ২১ মাসের নিরিখে যেটা সর্বনিম্ন। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর আর কখনইও পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সূচক আর কখনই এতোটা নামেনি বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক।

Advertisement
আরও পড়ুন