— প্রতীকী ছবি।
স্টকের বাজারে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটল ই-কমার্স সংস্থা ‘মিশো’র। ফলে তালিকাভুক্তিতেই বাম্পার রিটার্ন পেলেন ‘ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং’ বা আইপিওর লগ্নিকারীরা। শুধু তা-ই নয়, দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ বেড়েছে এই শেয়ারের দাম। এ-হেন পরিস্থিতিতে ‘মিশো’র স্টক ধরে রেখে আগামী দিনে কি মোটা মুনাফা করবেন বিনিয়োগকারীরা? জবাব খুঁজছে দেশের তাবড় ব্রোকারেজ ফার্ম।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর বাজারে খোলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তালিকাভুক্তি সম্পন্ন হয় ‘মিশো’র। ওই সময়ে আইপিও মূল্যের চেয়ে ৪৬ শতাংশ চড়ে যায় ই-কমার্স সংস্থাটির স্টকের দর। ফলে তালিকাভুক্তিতে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) শেয়ারের দাম ওঠে ১৬২.৫ টাকা। অন্য দিকে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) ১৬১.২ টাকায় পথচলা শুরু করেছে ‘মিশো’। ওই বাজারে ৪৫.২৩ শতাংশ বৃদ্ধিতে অভিষেক ঘটল সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থার।
‘মিশো’র আইপিওর প্রাইস ব্যান্ড ছিল শেয়ারপ্রতি ১০৫-১১১ টাকা। তালিকাভুক্তির আগে ই-কমার্স সংস্থাটির বাজার মূল্য ছিল ৭২,৭৫১.৬৭ কোটি টাকা। গত ৩-৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এর আইপিওতে আবেদনের পরিমাণ ছিল ৭৯ গুণ। ফলে তালিকাভুক্তিতে ‘মিশো’র স্টক ৩৯ শতাংশ রিটার্ন দেবে বলে পূর্বাভাস দেয় ধূসর বাজার। বাস্তবে তার চেয়ে বেশি মুনাফা হওয়ায় লগ্নিকারীদের মুখের হাসি যে চওড়া হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
বুধবার তালিকাভুক্তির পর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ই-কমার্স সংস্থাটির স্টকের দাম। খুব দ্রুত ১৭৭.৪৯ টাকায় পৌঁছে যায় সূচক, যা দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে অ্যাঙ্কর লগ্নিকারীদের থেকে ২,৪৩৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আয় করে ‘মিশো’। আইপিও-উইন্ডো খোলার প্রথম দিনেই (পড়ুন ৩ ডিসেম্বর) এতে আবেদনের অঙ্ক ছিল আড়াই গুণ।
আগামী দিনে ক্লাউড পরিকাঠামো তৈরি, বিপণন এবং ব্র্যান্ডে বিপুল লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সংস্থা। আইপিও তালিকাভুক্তি থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সেখানে খরচ করার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছে ‘মিশো’। ফলে আগামী দিনে এর স্টকের সূচক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)