—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে পরের ঋণনীতিতে রেপো রেট (যে সুদে তারা ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সুযোগ রয়েছে, দাবি স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, সোমবার যে দুই মাসের সুদ ঠিক করতে বৈঠকে বসবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি, সেই অক্টোবর-নভেম্বর দু’দিক থেকে ওই সুযোগ তৈরি করেছে। এক, এই দু’মাসে এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির হার কম থাকার কথা। দুই, বহু জিনিসের জিএসটি কমায় দাম কমবে সেগুলির। ফলে স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, মূল্যবৃদ্ধি নামতে পারে ২ শতাংশের নীচে। এটাই ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছাঁটার পথ তৈরি করেছে।
মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোয় গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দফায় মোট ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ ছেঁটেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অগস্টে তা অপরিবর্তিত ছিল। শিল্পমহলের বক্তব্য, জিএসটি কমার ফলে পণ্যের দাম কমায় বাজারে এমনিতেই বাড়বে চাহিদা ও উৎপাদন। তার উপরে ফের সুদ কমানো হলে তাদের পুঁজি সংগ্রহের খরচও কমবে। সাধারণ ঋণগ্রহীতা উপকৃত হবেন বাড়ি, গাড়ি-সহ বিভিন্ন খুচরো ঋণের কিস্তি বাবদ খরচ কমায়।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির অবস্থা কেমন হতে পারে, তার ভিত্তিতে ঋণনীতি ঠিক করা হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষের ব্যাখ্যা, ২০১৯-এ সাধারণ মানুষের ব্যবহারযোগ্য বহু পণ্যের কর ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হয়েছিল। তাতে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ৩৫ বেসিস পয়েন্ট কমেছিল। এ বার কমতে পারে ৬৫-৭৫ বেসিস পয়েন্ট।