Dollar-Money

কমল আরও ৪৮ পয়সা, ডলার এখন ৯১ টাকার দিকে

টাকা শক্তি হারানোয় আমদানির খরচ বাড়ছে। বিশেষত জ্বালানির। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি খরচ বাড়লে দেশের বাজারে তৈরি পণ্যের দামও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে মাথাচাড়া দেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:০৫

—প্রতীকী চিত্র।

তিন দিন পতনের পরে শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াল। কিন্তু ডলারের নিরিখে আরও শক্তি হারিয়ে নজিরবিহীন তলানিতে নামল টাকা। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি ঘিরে ধোঁয়াশা বাড়ছে। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন হঠাৎই মন্তব্য করেছেন, চুক্তি হতে হতে মার্চ গড়িয়ে যেতে পারে। তাতে হতাশা ছড়িয়েছে সর্বত্র। তার উপর বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি প্রত্যাহার অব্যাহত। এই সবেরই প্রভাব পড়েছে টাকায়।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় মুদ্রা বাজারে লেনদেনের মধ্যবর্তী সময়ে ডলারের দাম ৪৮ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ৯০.৪৮ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। টাকা এত নীচে আগে কখনও নামেনি। শেষ ঘণ্টায় অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গিয়েছে। দিনের শেষে আমেরিকার মুদ্রার দাম দাঁড়িয়েছে ৯০.৩২ টাকা। বুধবারের তুলনায় ৩৮ পয়সা বেশি। ডলারের নিরিখে টাকার এটাও নজিরবিহীন তলানি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ দিন টাকা আরও নামতে পারত। শেয়ার বাজারের উত্থান সেই পতন সামলে দিয়েছে। সেনসেক্স ৪২৬.৮৬ পয়েন্ট উঠে পৌঁছেছে ৮৪,৮১৮.১৩ অঙ্কে। নিফ্‌টি ১৪০.৫৫ উঠে হয় ২৫,৮৯৮.৫৫।

বাণিজ্য-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের ব্যাখ্যা, টাকা শক্তি হারানোয় আমদানির খরচ বাড়ছে। বিশেষত জ্বালানির। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি খরচ বাড়লে দেশের বাজারে তৈরি পণ্যের দামও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে মাথাচাড়া দেবে। এ ছাড়া, চলতি বছরে ডলারের নিরিখে টাকার দাম প্রায় ৫% পড়েছে। ফলে লাগামছাড়া ভাবে খরচ বাড়ছে বিদেশে পড়াশোনা করা এবং ভ্রমণের। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তিতে বিলম্ব টাকার উপর চাপ বাড়াচ্ছে। তার উপর মুদ্রার পতন ঠেকানোর ক্ষেত্রে আপাতত আগ্রাসী হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যার ফলে ক্রমশ কমছে টাকার দাম। চিন্তা বাড়ছে অর্থনীতির।

আরও পড়ুন