JU Hijab Issue

তদন্ত চলাকালীন ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না বিভাগীয় প্রধান! হিজাব বিতর্কে যাদবপুরে প্রস্তাব সংখ্যালঘু কমিশনের

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাশ্বতী হালদার তাঁর বক্তব্য লিখিত ভাবে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৯
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বিতর্কে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এল রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশন। নেতৃত্বে ছিলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান। তদন্ত চলাকালীন যাতে ইংরেজির বিভাগীয় প্রধান ক্যাম্পাসে না আসেন তা সুনিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসেন। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বৈঠক করেন তাঁরা। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় সদস্যদের কাছে।

পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যরা। পড়ুয়াদের তরফে দাবি তোলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিভাগীয় প্রধানকে অপসারিত করার। বৈঠক শেষে আহমদ হাসান ইমরান বলেন, “সংশ্লিষ্ট ছাত্রী ও অন্য পড়ুয়াদের কথা শুনে আমাদের মনে হয়েছে, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। আমরা খুশি বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপাচার্যকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, নিরপেক্ষতা স্বার্থে তদন্ত চলাকালীন বিভাগীয় প্রধান যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসেন।” এ ছাড়াও কমিশনের তরফে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কাউন্সেলিংয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাশ্বতী হালদার তাঁর বক্তব্য লিখিত ভাবে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। আমি মনে করি এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে, এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে দিকে অবশ্যই নজর রাখা হবে।”

মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমাদের রাজ্যে এই সমস্ত চলবে না। সংখ্যালঘু কমিশনের রিপোর্টের উপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন