গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
যুক্তি-তর্কের সিঁড়ি বেয়ে বিজ্ঞানের আশ্চর্য নানা কক্ষের সন্ধানে আগ্রহী স্কুল পড়ুয়ারা। পাঠ্যক্রমের গুরুগম্ভীর থিয়োরি নিয়ে সহজ সরল প্রজেক্টের মডেল তৈরি করার অভ্যাসও বহু পুরোনো। সেই অভ্যাসই হতে পারে ভবিষ্যতের আশ্চর্য আবিষ্কার। এমন আগ্রহকে উৎসাহ দিতে কেন্দ্রের তরফে স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারা কী ভাবে ওই ফেলোশিপ পেতে পারেন, রইল তার সমস্ত তথ্য।
ইনস্পায়ার মনক:
বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের মাথায় আপেল না পড়লে হয়ত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আবিষ্কারই হত না! আবিষ্কারের এমন আরও লক্ষ লক্ষ ভাবনাকে বাস্তবের রূপ দিতে ‘ইনস্পায়ার মনক’ শীর্ষক ফেলোশিপের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিএসটি)।
দেশের যে কোনও স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই ফেলোশিপ পেতে পারেন। এ জন্য জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় তাদের একটি বিশেষ মডেল বা ভাবনা পেশ করতে হবে। বিজ্ঞানের কোন সূত্র বা সমীকরণ বাস্তবের ওই মডেল কিংবা প্রজেক্ট কতটা কার্যকরী, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন— এই সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করা হয়। এর পর মডেলের প্রোটোটাইপ তৈরি করা এবং তা বাজারে আনার ব্যবস্থাও থাকে। এই কাজের জন্য বাছাই করা পড়ুয়াদের ১০,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
বিজ্ঞান উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীদের স্কলারশিপ:
১৭ থেকে ২২ বছরের যে সমস্ত ছাত্রীরা বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়ে দ্বাদশের পরীক্ষায় ভাল ফল করেছেন, কিংবা জয়েন্ট-এর মতো পরীক্ষায় র্যাঙ্ক করেছেন, তাঁরা কেন্দ্রের বিশেষ স্কলারশিপ পেতে পারেন। ‘স্কলারশিপ ফর হায়ার এডুকেশন’-এর মাধ্যমে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত ছাত্রীরা আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। এর জন্য তাঁদের পড়াশোনা চলাকালীন ৮০,০০০ টাকা প্রতি বছর দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে ওই স্কলারশিপ চলাকালীন পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপ করার সুযোগও পেয়ে থাকেন। কাজের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর তাঁদের মেন্টরশিপ সাপোর্টও দেওয়া হয়, যাতে গবেষণার কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে।
বিজ্ঞান জ্যোতি:
নবম থেকে দ্বাদশের ছাত্রীদের জন্য ডিএসটি বিশেষ ভাবে নজর দেয়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরিবিদ্যায় তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে বিজ্ঞান জ্যোতি-র অধীনে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ছাত্রীদের মননে বিজ্ঞান চর্চা সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধি করতে অভিভাবকদের কাউন্সেলিং-এরও ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিষয় সম্পর্ক আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পেয়ে থাকে ছাত্রীরা।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-কে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-এ ইনস্পায়ার মনক-এর মাধ্যমে ২৬,১২৭ জন এবং স্কলারশিপ ফর হায়ার এডুকেশন-এর মাধ্যমে ২৯,৪৩৭ জন ছাত্রীকে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।