Second summative exam 2025

অগস্টের শেষে দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা, প্রশ্ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

স্কুল স্তরে পরীক্ষাকে তিনটি সামেটিভে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সামেটিভ হয়েছে এপ্রিলের শেষে। তৃতীয় সামেটিভ হবে ডিসেম্বরে। আর অগস্টে হতে চলেছে দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা। যার দিন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে পর্ষদ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৩০

—ফাইল চিত্র।

২৫ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছর প্রাথমিকের দ্বিতীয় সার্বিক মূল্যায়নের (সামেটিভ) পরীক্ষা। যা চলবে ৩০ অগস্ট পর্যন্ত। প্রথমবার এ বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সার্বিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পর্ষদ সূত্রের খবর, স্কুল প্রশ্ন করলে তার মান সব জায়গায় এক থাকে না। পর্ষদ প্রশ্ন করলে সেই মান এক থাকবে। রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান কেমন, অগ্রগতি কেমন হচ্ছে, তা পর্ষদ জানতে পারবে। তাই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্কুল স্তরে পরীক্ষাকে তিনটি সামেটিভে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সামেটিভ হয়েছে এপ্রিলের শেষে। তৃতীয় সামেটিভ হবে ডিসেম্বরে। আর অগস্টে হতে চলেছে দ্বিতীয় সামেটিভ। যার দিন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে পর্ষদ। তিনটে সামেটিভ নিয়ে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়। এত দিন এই সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্কুলগুলি নিজেরাই করত।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ব্যাখ্যা, বুনিয়াদি শিক্ষাই পড়ুয়াদের ভিত তৈরি করে। কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বহু স্কুল প্রশ্নপত্র তৈরির সময় তারা যতটা পড়িয়েছে, তার উপরে প্রশ্ন তৈরি করে। এর ফলে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের সমান মূল্যায়ন হয় না। পর্ষদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই প্রশ্ন তৈরির খরচও তারা বহন করবে। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রশ্ন আমরা স্কুলে পৌঁছে দেব। ইতিমধ্যেই আমরা কবে কোন পরীক্ষা হবে তার রুটিন পাঠিয়ে দিয়েছি স্কুলগুলিকে। প্রশ্নের দু’টি সেট রাখা হচ্ছে। কোন‌ও সময় স্থানীয় কারণে স্কুল ছুটি থাকলে সেই স্কুলগুলিকে দ্বিতীয় সেটে পরীক্ষা নিতে হবে।’’

দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা তৈরি হওয়ার পরেই তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষার জন্য অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হবে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কী পড়ানো হবে তা পরিষ্কার উল্লেখ থাকবে ওই ক্যালেন্ডারে। সামনের বছর থেকে তিন দফা সামেটিভ পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি হবে। প্রতি চার মাসে কোন অধ্যায় কত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে, পড়ানোর সময়ে কোন অধ্যায়ে কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে তা বিস্তারিত ওই ক্যালেন্ডারে দেওয়া থাকবে।

এর ফলে রাজ্যের ৫০ হাজার স্কুলের সমস্ত পড়ুয়ার পড়াশোনোর মান এক থাকবে বলে মনে করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement
আরও পড়ুন