WB SSC jobs

পুরনো চাকরিতে ফেরার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার স্কুল শিক্ষা দফতরের

স্কুলশিক্ষা কমিশনার প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পুরনো চাকরিতে ফেরার জন্য যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল তা আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। হাইকোর্টে মামলার জেরে এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:১০
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

পুরনো চাকরিতে ফেরার মেয়াদ বৃদ্ধি করেও পিছু হঠল রাজ্য। ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল, মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ‘যোগ্য’ চাকরিহারা যাঁরা ২০১৬-এ অন্য কোনও সরকারি চাকরি ছেড়ে এসএসসি স্কুল শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যকেই। কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রে পুরনো চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। তাই গত সোমবার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করতে হল।

স্কুলশিক্ষা কমিশনার প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, পুরনো চাকরিতে ফেরার জন্য যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল তা আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। হাইকোর্টে মামলার জেরে এই সিদ্ধান্ত।

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, যাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরতে চান, তাঁদের এক অংশ সরকারের কাছে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। সেই মতো ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে বাড়িয়ে তা ৩১ অগস্ট ২০২৬ করা হয়। এর আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্যে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের সবেতন কাজের মেয়াদ ৩১ অগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু পুরনো কাজে ফিরতে চাওয়া প্রার্থীদের একাংশ আবার এই মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁরা বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন।

ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৩০০ বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ধাপে ধাপে পুরনো কাজের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে দফতর। কিন্তু সে প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি।

অর্থাৎ যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে পুরনো চাকরিতে ফেরেননি তাঁদের পক্ষে জটিলতা সৃষ্টি হলো বলেই মনে করছেন 'যোগ্য' শিক্ষক শিক্ষিকারা। এ প্রসঙ্গে 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সঙ্গীতা সাহা বলেন, "কমিশন সময় দিয়েছিল, কিন্তু একাংশের শিক্ষক এই বিষয়ে নতুন করে মামলা করায় বিপদে পড়ল পুরনো চাকরিতে ফেরা একটি বড় অংশ শিক্ষক শিক্ষিকারা।"

Advertisement
আরও পড়ুন