law semister exeam

গণধর্ষণের ২০ দিন পার, কড়া নিরাপত্তায় পরীক্ষায় বসলেন কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতা!

১৯৭ জনের মতোই প্রথম সেমেস্টারের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রী‌ও। সূত্রের দাবি, তিনি নিজে কলেজে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেননি। তবে পরীক্ষায় বসলেন নির্যাতিতা ছাত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ০১:১১
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

পরীক্ষায় বসলেন কসবা আইন কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রী। বুধবার, ১৬ জুলাই থেকে শুরু হল আইন স্নাতকের প্রথম সেমেস্টারে পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তায় ওই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘নির্যাতিতা ছাত্রী পরীক্ষায় বসেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত সেফ কাস্টাডিতে। মেয়েটি যাতে সুষ্ঠু ভাবে তার পরীক্ষা দিতে পারে তার সব রকম ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’

জানা গিয়েছে, এ বার কসবা আইন কলেজকে পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়নি। কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই এই পদক্ষেপ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, কলেজের প্রথম বর্ষের ১৯৭ জন পড়ুয়াই আডমিট কার্ড সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা এদিন পরীক্ষাও দেন। পরীক্ষা শুরু হয় বুধবার দুপুর ২টো থেকে।

এই ১৯৭ জনের রয়েছেন নির্যাতিতা ছাত্রীও। তবে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রী নিজে কলেজে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেননি। নির্যাতিতার পরিবার অথবা, অধ্যাপকদের তরফে কেউই জানাতে চাননি আদৌ তিনি পরীক্ষায় বসবেন কি না!

তবে, এই কলেজের কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতে ওই ছাত্রী নির্বিঘ্নে, নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারেন। এমনকি, কলেজের অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের নামও সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কলেজে গিয়ে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেছিলেন। সে রাতেই ওই ছাত্রী কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর দ্বারা নির্যাতিত হন বলে অভিযোগ। প্রথমে ওই ছাত্রী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের তরফে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। তার পরেই নাকি তিনি পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে , পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “লেখাপড়ার কোন‌ও বিকল্প হয় না, আমরা এটাই বুঝিয়েছিলাম। আর এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর কোন‌ও অন্যায় নেই। ছাত্রীটি কেন লজ্জা পাবে? ওর এই সিদ্ধান্ত সমাজের কাছে এক উদাহরণ সৃষ্টি করবে।”

অন্য দিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার জন্য ১৪টি সরকারি এবং বেসরকারি আইন কলেজের মধ্যে ১১টি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র হয়েছে। এই তালিকায় নেই সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন