Operation Sindoor 2025

পাক জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের হানা যুদ্ধ নয়, পহেলগাঁও-এর যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল: পরমব্রত

“পুরোটাই সুপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে। সেনাবাহিনী বা সাধারণ মানুষ নয়, কেবল জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটুকু তো করতেই হত।”

Advertisement
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ ০৮:৩১
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যুদ্ধোন্মাদ বা ধর্মোন্মাদ ছাড়া আর কেউ যুদ্ধ চান না। কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, কোনও ধর্মের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষ যুদ্ধ চাইতে পারে না। তা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও সত্যি, ভারত যে অভিযান চালিয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে কাশ্মীরে সদ্য ঘটে যাওয়া সন্ত্রাস, যার মূলে পাকিস্তান। এটা সকলে জানেন। সেই জায়গা থেকে এই প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিলই। এ রকম মর্মান্তিক ঘটনার পরেও কোনও দেশ যদি প্রত্যাঘাত না করে তা হলেও ব্যাপারটা ভীষণই অদ্ভুত দেখায়, তাই না?

Advertisement

সেই দিক থেকে বিচার করে আমি বলব, পুরোটাই সুপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে। সেনাবাহিনী বা সাধারণ মানুষ নয়, কেবল জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটুকু তো করতেই হত। পাশাপাশি এ-ও বলব, এটা এখনও যুদ্ধের পূর্ণ রূপ নয়। একে যুদ্ধ বলা যায় না। এটি জঙ্গিঘাঁটির উপরে প্রত্যাঘাত বা হানা দেওয়া। যেহেতু পড়শি দেশের সীমানার মধ্যে ঢুকে ভারত প্রত্যাঘাত করেছে, স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তান তাকে ‘যুদ্ধ’ তকমা দিয়েছে।

অতীতেও আমরা দেখেছি, যে কোনও দেশে যখন পহেলগাঁওয়ের মতো হামলার ঘটনা ঘটে তখন সেই দেশের সমস্ত মানুষ জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায়-রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে সেই সময়ের সরকারের পাশে দাঁড়ায়। সমর্থন জানায়। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরেও যেমন সমস্ত বিরোধী দল ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে। এ ক্ষেত্রে কোনও আপস নয়, কোনও রাজনীতি নয়, কোনও বিভেদ নয়। বরাবর এটি হয়ে এসেছে। পহেলগাঁও-এর ক্ষেত্রেও সেটাই হবে, এমনটাই আশা করি।

Advertisement
আরও পড়ুন