Aparajita Adhya

অনায়াসে কাটেন ইলিশ মাছ! নতুন প্রজন্মকে নিয়ে অপরাজিতা বললেন, ‘ওরা তো এগুলো পারেই না’

অপরাজিতা জানান, মাছ কাটতে পারা প্রাত্যহিক জীবনে একটি সাধারণ দক্ষতার মধ্যে পড়ে। কিন্তু আজকের প্রজন্ম এই সব করতে পারে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯
অপরাজিতা আঢ্য অনায়াসে কাটেন ইলিশ মাছ।

অপরাজিতা আঢ্য অনায়াসে কাটেন ইলিশ মাছ। ছবি: সংগৃহীত।

ইলিশ-অন্ত প্রাণ অপরাজিতা আঢ্যের! তাই নিজে হাতে কাটলেন ইলিশ মাছ। মাছবিক্রেতাদের মতো দক্ষ হাতে মাছ কাটলেন তিনি। তবে অপরাজিতার দাবি, মাছ কাটার মতো বিষয় সবারই জানা উচিত।

Advertisement

অপরাজিতা জানান, মাছ কাটতে পারা প্রাত্যহিক জীবনে একটি সাধারণ দক্ষতার মধ্যেই পড়ে। কিন্তু আজকের প্রজন্ম এই সব করতে পারে না। অভিনেত্রী বলেন, “আমি যে বঁটিতে মাছ কাটলাম, ওটায় তো ধারই ছিল না। মাছবিক্রেতারা নিজেরাই কেউ ওই বঁটিতে মাছ কাটতে পারবেন না। এত খারাপ ছিল বঁটিটা যে, ফলও কাটা যাবে না। এগুলো তো ছোটবেলা থেকে শিখেছি। লেখাপড়ার সঙ্গে এগুলো তো শিখতেই হবে, বাড়িতে প্রথম থেকে এমনই বোঝানো হয়েছে।”

ছোটবেলা থেকেই মাছ-মাংস, ফল, সব্জি কাটার অভ্যাস রয়েছে অপরাজিতার। জীবনে চলার পথে এগুলো না জানা থাকলে খুব মুশকিল বলে মত অভিনেত্রীর। তিনি বলেছেন, “ছোটবেলায় পাশের বাড়ির কাকিমারাও মাছ বা সব্জি দিয়ে যেতেন কেটে রাখার জন্য। কেউ আবার আমাকে রান্না করে রাখতে বলে যেতেন। ছোটবেলা থেকেই সব শেখা। এই নিয়ে বাহবা দিতে চাই না নিজেকে।”

একটা সময়ে রান্না করে স্কুলে যেতেন। নিজেই ভাত রেঁধে খেয়ে, তবেই স্কুলে যেতে পারতেন। আবার রাতেও পড়াশোনা শেষ করে রান্না করতে হত অভিনেত্রীকে। নতুন প্রজন্মের উপর কিছুটা ক্ষোভপ্রকাশ করেই অপরাজিতা বলেন, “এখন তো দেখি কেউ কিছুই পারে না। যে লেখাপড়া পারে, সে শুধুই লেখাপড়াটুকুই পারে। কিন্তু আমাদের সময়ে এগুলো করতে না পারলে, লোকে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত। আমার বাড়িতে তো বটেই।”

অপরাজিতা ইলিশ খেতে খুব ভালবাসেন। ইরানি ইলিশ, বা কন্টিনেন্টাল ইলিশ— এমন নানা পদ রয়েছে। তবে অভিনেত্রী পছন্দ করেন বাঙালির ইলিশ ভাজা, ভাপা ইলিশ অথবা পাতুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন