Celina Jaitley

‘প্রতি রাতে কাঁদছি’, আরবের বিতর্কিত ঘটনায় আটক সেনা আধিকারিক বিক্রান্ত! ভাইয়ের জন্য কী করছেন সেলিনা?

গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে আরবে আটক রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক বিক্রান্ত কুমার জেটলি। ১৪ মাস হয়ে যাওয়ার পরে দিল্লি হাই কোর্টের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সেলিনা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৩
ভাই বিক্রান্তের জন্য ভেঙে পড়েছেন সেলিনা।

ভাই বিক্রান্তের জন্য ভেঙে পড়েছেন সেলিনা। ছবি: সংগৃহীত।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আটকে রয়েছেন ভাই। দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেলিনা জেটলি। কেন্দ্র থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, নিয়মিত তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নন সেলিনা। ভাইয়ের জন্য দু’চোখের পাতা এক হচ্ছে না অভিনেত্রীর।

Advertisement

গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে আরবে আটক রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক বিক্রান্ত কুমার জেটলি। ১৪ মাস হয়ে যাওয়ার পরে দিল্লি হাই কোর্টের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সেলিনা। রবিবার রাতে বিক্রান্তের জন্য সেলিনা লেখেন, “আমি ও আমার ভাই। আমার সোনা ভাই, আশা করি, তুমি ঠিক আছ। আমি তোমার পাশে আছি। আশা করি তুমি জানো, এক রাতও তোমার জন্য না কেঁদে ঘুমোতে যাইনি। তোমার জন্য আমি সব ছাড়তে পারি, এটা নিশ্চয়ই তুনি জানো।”

দিল্লি হাই কোর্টের কাছে সেলিনা জানিয়েছিলেন, আরবে আটকে পড়ার পর চিকিৎসা সংক্রান্ত ও আইনি সহায়তা করা হচ্ছে না তাঁকে। সেলিনা তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, “আশা করি, তুমি জানো, আমাদের মধ্যে আর কেউ আসতে পারবে না। আমি কোনও কিছু বাকি রাখছি না। আশা করছি, ঈশ্বর অবশেষে তোমার এবং আমার উপর সদয় হবে ভাই। তোমার অপেক্ষায় রয়েছি।”

সেলিনার পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁর ভাইকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের হয়ে আইনজীবী নিধি রমন জানিয়েছেন, একটি মামলায় জড়িয়েছেন বিক্রান্ত। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর সুরক্ষার জন্য অনবরত বিক্রান্তের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। বিচারপতি সচিন দত্তের আদালতে বিষয়টি জানিয়েছেন নিধি। সেলিনার ভাইয়ের খোঁজখবর নিয়মিত রাখা হচ্ছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।

২০২৪ সালে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বিক্রান্তের। তার পর থেকেই তিনি আটক আরবে। তবে সেলিনা এই দাবি মানতে নারাজ। তিনি জানিয়েছেন, এক বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভাইয়ের আইনি অবস্থান এখন ঠিক কী, তা নিয়ে কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা বা কোনও রকম যোগাযোগের ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সেলিনা। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছে দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন