পরীমণি কি নুসরত ফারিয়ার গুঞ্জনের বলি? গ্রাফিক: সংগৃহীত।
সারা দিন শুটিংয়ে ব্যস্ত। ফোন বন্ধ ছিল তাঁর। সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোন খুলে চোখ কপালে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণির। কে বা কারা তাঁর ভুয়ো মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে। দাবি, নায়িকার ঝুলন্ত দেহ নাকি উদ্ধার হয়েছে। সব থেকে মজার বিষয়, তিনি বেঁচেন আছেন কি না— সেই প্রশ্ন পরীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই জানতে চেয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা! দেখে শুনে আক্কেলগুড়ুম নায়িকার। সঙ্গে সঙ্গে সমাজমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারে আসেন। অভিনেত্রী শঙ্কা প্রকাশ করেন। ইঙ্গিত দেন, ও পার বাংলার আর এক জনপ্রিয় নায়িকা নুসরত ফারিয়াকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। মন্তব্যের ঢল থামাতেই হয়তো তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরী বলেন, “এই মুহূর্তে দেশে যা হচ্ছে, আপনারা সকলেই অবগত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন স্বনামধন্য শিল্পীকে নিয়ে যা হচ্ছে, সেটা তো কাম্য নয়। সেটা নিয়ে যখন এত কথা হচ্ছে, সেটা থামাতেই কি না...আমি জানি না।” পরীমণি শুধু শঙ্কাপ্রকাশ করেই থেমে থাকেননি। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও। বলেছেন, “এই যে ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল আমার, তার পরেই লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে! কোনও একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমণিকেই বেছে নেয়, কেন? আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমণির বিয়ের খবর লিখে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না। তাই মেরে ফেলল!”
নিজের মৃত্যু নিয়ে নায়িকা ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েননি। তাঁর মতে, আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে তিনি নন। দুই সন্তানের মা পরীমণি খুব সুখী। সন্তানদের বেড়ে ওঠা দেখছেন। ওঁদের ঘিরে তাঁর জীবন, তাঁর স্বপ্ন। পাশাপাশি এ-ও স্বীকার করেছেন, তিনি জানেন না, কী ভাবে মৃত্যু আসবে তাঁর জীবনে। ঈশ্বরের কাছে পরীমণির একটাই চাওয়া, তিনি যেন স্বাভাবিক ভাবে মরতে পারেন।