Saif Ali Khan Stabbed Case

২০টির মধ্যে ১৯টি আঙুলের ছাপের নমুনা শরিফুলের সঙ্গে মিলছে না! দাবি চার্জশিটে, সইফ-কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়

সম্প্রতি হাজার পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। দাবি, সাক্ষ্য, তথ্যপ্রমাণ শরিফুলের বিরুদ্ধে। হঠাৎ এ কী কাণ্ড?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৫
সইফ আলি খান-কাণ্ডে নয়া মোড়।

সইফ আলি খান-কাণ্ডে নয়া মোড়। ছবি: সংগৃহীত।

শরিফুল ইসলাম সইফ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও তাঁর বিরুদ্ধেই গিয়েছে। এর আগে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শরিফুলের আইনজীবী। একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন জানায় মুম্বই পুলিশ। হাজার পাতার চার্জশিটও পেশ করে। হঠাৎ পটপরিবর্তন। মঙ্গলবারের খবর, অভিনেতার আবাসন থেকে পাওয়া কিছু আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ! প্রসঙ্গত, অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের সঙ্গে মেলেনি।

Advertisement

খবর প্রকাশ্যে আসতেই নয়া গুঞ্জন, তা হলে কি শরিফুল আদৌ সইফ-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

এ দিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতল-সহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এ ভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি-ই নাকি মেলেনি! কেবল আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে, মুছে গিয়েছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ।

তাদের দাবি, এই ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে। সাধারণত, হাজার জনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়। তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, আততায়ী অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

মুম্বই পুলিশের চার্জশিটে আরও প্রকাশিত, বাংলাদেশ থেকে আগত শরিফুল তাঁর পরিবারের কাছে অবৈধ ভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। চার্জশিটে পুলিশ এ কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, শরিফুল তাঁর সহকারী অমিত পাণ্ড্যর মাধ্যমে আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। আলিম তাঁর বোনের স্বামী ছিলেন।

চার্জশিটে এও জানানো হয়েছে, এ ভাবে অনেক দিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা দেশ থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।

৮ এপ্রিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন আদালতে হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। সেই চার্জশিট শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে। জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে পুলিশের কাছে ১১১ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন। বয়ান রেকর্ড করা হয় ৪৮ জনের। পেশ করা চার্জশিট অনুযায়ী, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পরেও বছর ৩০-এর অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ সইফের সদ্‌গুরু শরণ ভবনের ভিতরে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন! তার পর পাশের ভারতী ভিলায়

Advertisement
আরও পড়ুন