Cristmas 2025

কেউ সাজবে সান্টা, কেউ উপহার চাইবে রকমারি! ইউভান-ইয়ালিনি, কিয়া-আদিদেবের বড়দিনে আর কী?

“আদি একটু বড়সড় হয়ে গিয়েছে। তাই ওর মাপের সান্টাক্লজ় পোশাক পাব না। বেচারা সেটা মেনে নিয়েছে। ওর কেবল নানা রকমের উপহার চাই!”

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৭
বড়দিনে সপরিবার রাজ চক্রবর্তী।

বড়দিনে সপরিবার রাজ চক্রবর্তী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

ওরা রীতিমতো ‘টুইঙ্কল টুইঙ্কল বিগ স্টার’! বড়দিন ওদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই বড় দিন। আগের রাত থেকে বাড়ি সাজানো শুরু। পরের দিন কেক-পেস্ট্রিতে চকোমাখো। তারকাসন্তানেরা কী ভাবে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করে?

Advertisement

জানতে আনন্দবাজার ডট কম ঢুঁ মারার চেষ্টা করেছিল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্দরমহলে।

বড়দিনে শুভশ্রীর ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ মুক্তি পাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই নায়িকা ব্যস্ত। একই ভাবে ব্যস্ত তাঁর পরিচালক স্বামী রাজ চক্রবর্তীও। তাঁর সিরিজ় ‘আবার প্রলয় ২’-এর টানা রাতভর শুটিং চলছে। নায়িকা বলেছেন, “আমার কাছে এ বছরের বড়দিন সত্যিই বড়। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে চৈতন্যদেবের জীবনী বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। ব্যস্ততার ফাঁকেই বাড়ির একটি অংশ ক্রিসমাস গাছ দিয়ে সাজাব হয়তো। তাতে রঙিন আলো, তারা, ছোট্ট ছোট্ট উপহারের বাক্স ঝুলবে। পাশে থাকবে সান্টাক্লজ় মস্ত কাটআউট।” গত কয়েক বছর ধরে এ ভাবেই সাজাচ্ছেন তিনি। এ বছরেও তার অন্যথা হবে না।

দুই সন্তান ইউভান আর ইয়ালিনি কি লাল-সাদা সান্তার মতো সেজে উঠবে? নিজেদের জাহির করতে ভালবাসেন না শুভশ্রী। তাই এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে অতীতের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, ইউভান-ইয়ালিনি যখন আরও ছোট তখন মা-বাবা আর খুদে একসঙ্গে সান্তার পোশাক আর টুপিতে সেজেছিলেন। বিশেষ সাজের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীদের। এ বছর সে রকমও কিছু করতে পারেন চক্রবর্তী পরিবার।

কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে কিয়ার বড়দিন।

কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে কিয়ার বড়দিন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

নাওয়া-খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারের বড়দিনে তিনি ‘মিতিন মাসি’র সঙ্গী। ছবিমুক্তির পাশাপাশি ‘রান্নঘর’ রিয়্যালিটি শো-এর শুটিং চলছে দিনরাত। তারই ফাঁকে কনীনিকা বললেন, “আমার মেয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। ফলে, ও ছোট থেকেই বড়দিন সম্পর্কে ভীষণ ওয়াকিবহাল। ব্যস্ততার কারণে কিয়া আমায় পাচ্ছে না। তাই ছোট্ট ছোট্ট ভিডিয়োয় ক্রিসমাস ক্যারোল গেয়ে আমায় পাঠাচ্ছে।” অভিনেত্রীও প্রতি বছর বাড়ির একটি কোণ নিজের মতো করে সাজান। “সেখানে বড় ক্রিসমাস গাছ থাকে। কিয়া এখন আমার সঙ্গে হাতে হাতে সাজায়। আগামী কাল তাতে আলো জ্বলবে, ও খুব উত্তেজিত।” আর ভালবাসে মায়ের হাতের কেক। প্রতি বছর নিয়ম করে চকোলেট কেক বানান কনীনিকা। তার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভালমন্দ খেতে।

এ বছর আরও একটু বড় হয়ে গিয়েছে আদিদেব চট্টোপাধ্যায়। অগ্নিদেব-সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান। “এত দিন ছোট ছিল। সান্তার কাছে মজার মজার জিনিস চাইত। আমারাও সে সব কিনে মজা পেতাম। এ বছর বুদ্ধি করে বড় বড় জিনিস চেয়েছে। আমরা চাপে পড়ে গিয়েছি।” দিন দুই আগে সান্টাক্লজ়কে বড় করে চিঠি লিখে ফেলে একরত্তি। যাতে একটা উপহারও বাদ না পড়ে। এ বছর তাতেও নাকি আপত্তি জানিয়েছে সে! জানালেন সুদীপা।

এ ভাবেই আনন্দে মাতেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার।

এ ভাবেই আনন্দে মাতেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

অগ্নিদেবের ছোটবেলা কেটেছে পার্ক সার্কাস অঞ্চলে। সেখানে তাঁর মায়ের অনেক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বান্ধবী ছিলেন। তাই বড়দিন বরাবর বিশেষ চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। এখনও সেই রীতি ধরে রেখেছেন অগ্নিদেব-সুদীপা। “সকাল সকাল আমরা চলে যাই শাশুড়ি মায়ের বাড়ি। সেখানে সারা দিন ধরে শুধুই খাওয়া-দাওয়া। ছোটরা এক হয়ে হুল্লোড়ে মাতে। আদিদেবও যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। আমাদের বাইরে যেতে হয় না। কেবল ব্রাঞ্চের আয়োজন হয় বড় কোনও ক্লাব বা হোটেলে।” কেবল একটি বিষয় নিয়ে একটু মনখারাপ আদিদেবের। “আদি একটু বড়সড় হয়ে গিয়েছে। তাই ওর মাপের সান্টাক্লজ় পোশাক পাব না। বেচারা সেটা মেনে নিয়েছে। ওর কেবল নানা রকমের উপহার চাই!”

Advertisement
আরও পড়ুন