Jeetu Kamal At Lalbazar

সকাল সকাল লালবাজারে, পুলিশ কমিশনারের কাছে জীতু কমল! এমন কী ঘটল অভিনেতার সঙ্গে?

জীতুর দাবি, “আমি আর কোনও অবস্থাতেই বিচলিত হই না। অবসাদেও ভুগি না। ইদানীং রাগও হয় না। জীবন আমায় অনেক বদলে দিয়েছে।”

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৩
জীতু কমল কি আবার সমস্যায়?

জীতু কমল কি আবার সমস্যায়? ছবি: ফেসবুক।

ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘গৃহপ্রবেশ’-এ তাঁর অভিনয় দর্শক প্রশংসিত। ছোট পর্দাতেও জীতু কমল অভিনীত ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ হিট। এমন সুসময়ে কী ঘটল জীতুর সঙ্গে, যার জেরে লালবাজার দৌড়োতে হল তাঁকে? তিনি দেখা করলেন পুলিশ কমিশনার মনোজকুমার বর্মা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অলোক সান্যালের সঙ্গে!

Advertisement

খবর ছড়াতেই টলিপাড়ার অন্দরে ফিসফাস শুরু। আবার নতুন কোনও সমস্যার মুখোমুখি অভিনেতা?

জীতু যখন লালবাজারে তখনই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে ফোনে কথা বলেন। জানান, দুলাল দে পরিচালিত ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’ ছবিতে গোয়েন্দা চরিত্র ‘অরণ্য চট্টোপাধ্যায়’ হিসাবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। ছবির সেই গল্প এ বার দু’মলাটে বন্দি। ‘ফেলুদা’, ‘একেনবাবু’র পর আরও এক গোয়েন্দা বইয়ের পাতায় ধরা দিচ্ছেন। সেই বই প্রকাশ করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। সেই উপলক্ষে লালবাজারে তিনি এবং ছবির পরিচালক-লেখক উপস্থিত। বইপ্রকাশের পর লালবাজার গোয়েন্দা দফতর ঘুরে দেখেন অভিনেতা।

লালবাজারে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জীতু কমল, প্রকাশক দীপ্তাংশু মণ্ডল, পুলিশ কমিশনার মনোজকুমার বর্মা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অলোক সান্যাল, পরিচালক-লেখকদুলাল দে।

লালবাজারে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জীতু কমল, প্রকাশক দীপ্তাংশু মণ্ডল, পুলিশ কমিশনার মনোজকুমার বর্মা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অলোক সান্যাল, পরিচালক-লেখকদুলাল দে। ছবি: সংগৃহীত।

এখানেই শেষ নয়। বড় পর্দায় ‘অরণ্য চট্টোপাধ্যায়’ আবার ফিরছে। ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’-এর সিক্যুয়েলের মাধ্যমে, জানিয়েছেন ছবির পরিচালক। চিত্রনাট্য লেখার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। প্রথম ছবিতে সরকারি হাসপাতালের সমস্যা পর্দায় দেখিয়েছিলেন তিনি। আগামী ছবিতে সমাজের কোন জ্বলন্ত সমস্যা তুলে ধরবেন? জানতে চাইলেও এখনই ছবি প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি পরিচালক। জানিয়েছে ‘অরণ্য’কে আরও বড় সমস্যার মোকাবিলা করতে দেখা যাবে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ছবিতে কিছু চরিত্র এবং অভিনেতা বদল হতে পারেন। যেমন, আগামী ছবিতে থাকবেন না রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

বড়-ছোট পর্দা হয়ে দুই মলাটে নিজেকে আবিষ্কার। জীতু কি আনন্দে মেঘমুলুকে?

অভিনেতা সাফ বলেছেন, “এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন আমার বড় পর্দার কাজ প্রশংসিত। ছোট পর্দার কাজ দর্শকেরা ভালবেসে দেখছেন। আবার আমার অভিনীত চরিত্র বইয়ের আকার নিল। বাংলার গোয়েন্দা কুলে আরও এক গোয়েন্দা যুক্ত হল। অবশ্যই ভাল লাগছে।” জীবনের অনেক ভাল-মন্দ পেরিয়ে সুসময়...। প্রসঙ্গ তুলতেই জীতুর দাবি, “আমি কোনও অবস্থাতেই বিচলিত হই না। অবসাদেও ভুগি না। ইদানীং রাগও হয় না। জীবন আমায় অনেক বদলে দিয়েছে।”

একই ভাবে আনন্দিত ছবির অন্যতম অভিনেতা ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অলোক সান্যালও। বললেন, “এই প্রথম আমার কোনও ছবি বই আকারে বেরোল। ফলে, তার আনন্দই আলাদা। পড়ে দেখতে হবে। আশা, ছবির সিক্যুয়েলেও থাকব।”

Advertisement
আরও পড়ুন