Kangana Ranaut

রাজনীতি নাকি শখের কাজ! মন্ত্রিত্ব না-পাওয়া, কম উপার্জন, কঙ্গনা কি আক্ষেপ করছেন?

কঙ্গনার দাবি, সৎ পথে রাজনীতি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে জীবনযাপন করা কঠিন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ১৩:৪৮
Kangana Ranaut said that she thinks politics is an expensive hobby

কঙ্গনা রনৌত। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনীতি থেকে মন উঠে গিয়েছে কঙ্গনা রনৌতের। কিছু দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাজনীতি আর উপভোগ করছেন না তিনি। এ বার রাজনীতিকে ‘শখের কাজ’ বলেও দাবি করলেন অভিনেত্রী তথা মন্ডী কেন্দ্রের সাংসদ।

Advertisement

পঞ্চায়েত স্তরের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে সবাই আসছেন তাঁর কাছে। তাই সাংসদের কাজ আর ভাল লাগছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এ বার উপার্জন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। এ বার অন্য এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন, “আমি সব সময়ে একটা কথা বলি, রাজনীতি খুব দামি একটা শখ।” এই উত্তর শুনে সাংবাদিক ‘শখ’ শব্দটির উপর পাল্টা জোর দেন। ফের কঙ্গনা বলেন, “অবশ্যই, শখ। আপনি সাংসদ হলে রাজনীতি আর পেশা থাকতে পারে না। তার কারণ, এর পাশাপাশি আপনার একটা চাকরির দরকার পড়বে। অবশ্য, যদি আপনি একজন সৎ মানুষ হোন।”

কঙ্গনার দাবি, সৎ পথে রাজনীতি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে জীবনযাপন করা কঠিন। তাই দরকার আরও একটি চাকরি। অভিনয় থেকে রাজনীতির জগতে এসেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, “আমি একটা বিষয় বুঝেছি। একজন সাংসদকে যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে রাঁধুনি বা গাড়ির চালককে বেতন দেওয়ার পরে থাকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।”

ভারতে এক সাংসদের বেতন ১.২৪ লক্ষ টাকার আশপাশে। কঙ্গনা আরও জানিয়েছেন, তাঁর কেন্দ্রের কোনও এলাকা গাড়িতে করে ঘুরে দেখতে গেলেও অনেক খরচ হয়ে যায়। তার কারণ, প্রতিটি এলাকার মধ্যে প্রায় ৩০০-৪০০ কিলোমিটারের দূরত্ব। জানান কঙ্গনা। তাই তিনি বলেছেন, “এই জন্যেই রাজনীতি খুব খরচসাপেক্ষ একটি শখ। তাই আলাদা চাকরি প্রয়োজন। এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাঁদের ব্যবসা রয়েছে। অনেকে আবার আইনজীবী।”

কঙ্গনা কি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব চেয়েছিলেন? অভিনেত্রী জানান, তিনি আশা করেছিলেন, কোনও একটি মন্ত্রকের দায়িত্ব তিনি পাবেন। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমি একজন চিত্রপরিচালক। আমি লেখকও। পদ্মভূষণ-এর মতো সম্মানও পেয়েছি আমি। এই প্রসঙ্গেই বলতে হয়, আমি এই দলের জন্য অনেক কিছু করেছি। আমার কেন্দ্রে জয়ী হওয়া মোটেই সহজ ছিল না। অনেক দিন ধরে প্রচার করতে হয়েছে। শেষ দফার দিকে আমার কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল। তাই মনে হয়েছিল, একটা মন্ত্রকের দায়িত্ব অন্তত আমার পাওয়া উচিত।”

Advertisement
আরও পড়ুন