Madhubanti Bagchi

ফের ‘হিট’ মধুবন্তী! ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পেতেই গায়িকা জানালেন, তিনি নাচ করবেন না, অভিনয়ও না

শুধু গান গাননি মধুবন্তী, ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে দেখাও গিয়েছে তাঁকে। গানের পর এ বার অভিনয়ও করবেন নাকি? রণবীরের সিংহের থেকে কোন প্রশংসা পেলেন শিল্পী? আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন মধুবন্তী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৮
মধুবন্তী এ বার ‘ধুরন্ধর’-এ।

মধুবন্তী এ বার ‘ধুরন্ধর’-এ। ছবি: সংগৃহীত।

তিনি এখন যাতেই হাত দিচ্ছেন, তাতেই কি সোনা ফলছে? বলিউডের ‘হিট মেশিন’ হয়ে উঠলেন নাকি কলকাতার মধুবন্তী বাগচী? ‘আজ কি রাত’, ‘উই আম্মা’র পর চলতি বছরের শেষে এল ‘ধুরন্ধর’ ছবির ‘শরারত’ গান। এই মুহূর্তে ভাইরাল। শুধু তা-ই নয়, ছবিতেও দেখা গিয়েছে মধুবন্তীকে। গানের পর এ বার অভিনয়ও করবেন নাকি! রণবীরের সিংহের থেকে কোন প্রশংসা পেলেন? আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন মধুবন্তী।

Advertisement

বছরশেষে মুক্তি পেয়েছে তারকাখচিত ‘ধুরন্ধর’। প্রথম সপ্তাহান্তেই দেশে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে এই ছবির ব্যবসা, খবর তেমনই। দর্শক মহলে এই ছবি দেখার পরে প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে হচ্ছে ছবির গান নিয়ে আলোচনাও। চর্চায় উপরের দিকেই রয়েছে মধুবন্তীর গাওয়া ‘শরারত’। তাঁর সঙ্গে এই গানে সঙ্গত করেছেন জ্যাসমিন স্যান্ড্‌ল্‌স। সম্প্রতি ছবির গানমুক্তি অনুষ্ঠানে এই দুই গায়িকা মঞ্চ মাতান, সঙ্গে ছিলেন রণবীর সিংহ।

মধুবন্তী জানান, এই ছবির সুরকার শাশ্বত সচদেব ও পরিচালক আদিত্য ধরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ‘উরি: দ্য সার্জিকল স্ট্রাইক’ ছবির সময় থেকে। এই ছবিতে যখন প্রথম বার অভিনয় করার প্রস্তাব দেন আদিত্য, ‘না’ বলে দেন গায়িকা। মধুবন্তীর কথায়, ‘‘ওই গানে এত তারকা, এত লোকজন! আমি বলেছিলাম, ‘ভিড় বাড়িয়ে কী লাভ? আমাকে ছেড়ে দাও।’ আমার আসলে খুব টেনশন হয়। কিন্তু, জ্যাসমিন খুব উত্তেজিত ছিল। আমি বলেছিলাম নাচতে পারব না, একেবারে সাধারণ ভাবে গাইতে হলে, সেটা করতে পারি। আদিত্য আশ্বস্ত করার পরে আমি রাজি হই।’’

অভিনয়ে বিশেষ আগ্রহ না থাকলেও এই ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র রণবীরকে শুরু থেকেই পছন্দ মধুবন্তীর। নিজেকে রণবীরের অনুরাগী বলতে দ্বিধা নেই তাঁর। এমনিতেই রণবীরের ফ্যাশন, সাজপোশাকের দিকে নজর থাকে সকলের। বলা হয়, যে কোনও ধরনের ‘লুক’-এই নাকি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। সেই রণবীর অবশ্য মুগ্ধ হয়েছেন মধুবন্তীর সাজে। গায়িকার কথায়, ‘‘মিউজ়িক লঞ্চ অনুষ্ঠানের দিন রণবীর বলেন, ‘তোমাকে দারুণ লাগছে’! ওঁর ভাষায় বললে ‘ফারু’ লাগছে। আমার ও জ্যাসমিনের গান শুনে বলেছিলেন, ‘তোমরা কিন্তু অসম্ভব গেয়েছ’। আসলে ‘‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবির সময় থেকে রণবীরের অনুরাগী। একটা দ্যুতি আছে ওঁর মধ্যে। সবচেয়ে বড় কথা, উনি এমন একজন তারকা, যিনি অভিনয়টাও দুর্দান্ত করতে পারেন।’’

মধুবন্তী নিজে যদিও কখনও অভিনয় করতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সবসময় একজন গায়িকা হয়েই থাকতে চেয়েছি। নাচতে পারব না— এমন নয়। কিন্তু সেটা করতে চাই না। আমার কাছে স্টুডিয়োয় ‘প্লে-ব্যাক’ করা একটা শান্তির জায়গা। গান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা, এ সবই আমার ভাল লাগে। আমি নিজের সত্তাটা ধরে রাখতে চেয়েছি সবসময়। তাই শুটিংয়ের সময় পরিচালক আদিত্য ও নৃত্যপ্রশিক্ষক বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় কোনও ‘স্টেপ’ দেননি। নিজের মতো থাকতে দিয়েছিলেন।’’

এই মুহূর্তে একের পর এক ‘হিট’ গান তাঁর ঝুলিতে। তবে আচমকা এই সাফল্য আসেনি। মধুবন্তী নিজেও মনে করেন, বলিউডে সফল হতে গেলে অন্তত সাত থেকে আট বছর সময় লাগে। তবে নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে মধুবন্তী বলেন, ‘‘আমার যদি হঠাৎ করে সফল হয়ে যেতাম, সেটা ক্ষণস্থায়ী হত। সেটা হয়নি বলেই, যা পেয়েছি তার সম্মান করতে জানি। আসলে মুম্বইয়ে কাজ পেতে গেলে লোকের বিশ্বাস অর্জন করতে হয়। কেউ যদি মনে করেন, প্রথমেই সঞ্জয় লীলা ভন্সালী এসে সুযোগ দেবেন, সেটা হবে না।’’ কখনও সাফল্যে মাথা ঘুরে যাক, চান না শিল্পী। বরং মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়ে ব্যস্ত থাকতে চেয়েছেন। এটাই গায়িকার চালিকাশক্তি।

Advertisement
আরও পড়ুন