Saif Ali Khan stabbing incident

‘গাড়ির চাবি খুঁজে পেলে আমিই চালিয়ে যেতাম হাসপাতালে’, সে রাতে সইফের ঠিক কী হয়েছিল?

প্রশ্ন উঠেছিল, কোথায় ছিলেন গাড়ির চালক? শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে তাঁর কেন এত সময় লাগল? অভিনেতা নিজেই জানালেন, কেন গাড়ির বদলে অটোয় চেপে লীলাবতী হাসপাতালে গেলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৬
Saif Ali Khan revealed why his driver was not there on that day

কেন সেই রাতে গাড়ির চাবি খুঁজে পেলেন না সইফ! ছবি: সংগৃহীত।

হামলার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সইফ আলি খান। ছ’বার ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পাঁচ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ধবধবে সাদা পোশাক, দাড়ি কামানো আর চোখেমুখে ঔজ্জ্বল্য— এই দেখেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে, এত দ্রুত কী ভাবে সুস্থ হলেন সইফ? আদৌ কি তাঁর উপর হামলা হয়েছিল? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা।

Advertisement

সে রাতে অটোয় চড়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সইফ। প্রশ্ন উঠেছিল, কোথায় ছিলেন গাড়ির চালক? শিরদাঁড়ায় গাঁথা ছুরি নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে তাঁর কেন এত সময় লাগল? অভিনেতা নিজেই জানালেন, কেন গাড়ির বদলে অটোয় চেপে লীলাবতী হাসপাতালে গেলেন তিনি। তাঁর কথায়, “লোকে প্রশ্ন করছেন, দেড় ঘণ্টা পিঠে ছুরি নিয়ে কী করছিলাম আমি। বিষয়টা একেবারেই এমন নয়। আমি প্রথমেই নীচে গিয়েছিলাম। প্রথম অটোরিকশায় আমি হাসপাতালে গেলাম। পরের অটোরিকশায় চেপে পরিবারের লোকজন করিশ্মার বাড়ি গিয়েছিল। কেউ কোথাও থেমে থাকেননি।”

এখানেই শেষ নয়। সইফ স্পষ্ট বলেছেন, “সমাজমাধ্যমে লোকে প্রশ্ন করছেন, এরা এত ধনী ব্যক্তি, রাতে বাড়িতে কোনও চালক ছিল না? আমি এটাই বলতে চাই, সারা রাত কেউ কাজে থাকে না। রাতে সবাই যে যার বাড়িতে ফেরে। কিছু মানুষ রাতে আমাদের বাড়িতে থাকেন। কিন্তু গাড়ির চালকেরা বাড়িতে থাকেন না। রাতে বাড়ির বাইরে কোথাও যাওয়ার থাকলে আগের থেকে বলা থাকে ওঁদের।”

সেই রাতে গাড়ির চাবিও খুঁজে পাননি বলে জানান সইফ। অভিনেতার স্বীকারোক্তি, “আমি চাবি খুঁজে পেলে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু খুঁজে পাইনি। অবশ্য নিজে গাড়ি চালিয়ে যাওয়াটা ঠিকও হত না, আমার পিঠের যা অবস্থা ছিল! তা ছাড়া আমি সম্পূর্ণ ঝিমিয়ে পড়েছিলাম। রাত ৩টের সময় গাড়ির চালককে ডেকে পাঠানোও যায় না। তাঁরও তো আসতে সময় লাগত। কিন্তু আমার হাসপাতালে পৌঁছনোর তাড়া ছিল।”

Advertisement
আরও পড়ুন