ছবি : সংগৃহীত।
কিডনি শরীরের ছাঁকনির মতো কাজ করে। তা শরীরে জমা নানা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু কিডনিকে দূষণ বা বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে সুস্থ রাখতে হলে কী করবেন? পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর জানাচ্ছেন, নিয়ম করে রোজ কিছু পানীয় খেলে, তা কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
১. লেবু জল
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড। এটি প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমে পাথরের মতো জিনিস তৈরি করতে বাধা দেয়। প্রতি দিন সকালে হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং তা কিডনিও পরিষ্কার রাখে।
২. ক্র্যানবেরির রস বা আমলকির রস
কিডনি এবং মূত্রনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় ক্র্যানবেরির রসের উপযোগিতা গোটা দুনিয়ায় স্বীকৃত। এটি মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কিডনিতে ব্যাকটেরিয়া জমতে দেয় না, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে বাজারচলতি ক্র্যানবেরির রসে অতিরিক্ত চিনি থাকে। তা ছাড়া ক্র্যানবেরি ভারতে সহজলভ্যও নয়। তাই পুষ্টিবিদ রমিতা জানাচ্ছেন এ দেশে ক্র্যানবেরির বদলে আমলকির রস খাওয়া যেতে পারে।
৩. গ্রিন টি বা যেকোনও ভেষজ চা
গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কিডনির প্রদাহ কমায় এবং তাকে ভাল ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনিতে ‘পাথর’ হওয়া বা কিডনি স্টোনের ঝুঁকিও কমায় গ্রিন টি। আদা চা বা তুলসী পাতার চাও কিডনি ডিটক্স করতে কার্যকরী।
সতর্কতা
১। বিশুদ্ধ পানীয় জলের কোনো বিকল্প নেই। একজন সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত। তবেই কিডনি ভাল থাকবে।
২। অনেকেই কিডনি ভাল রাখার জন্য ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যাদের ইতিমধ্যেই কিডনিতে সমস্যা বা পটাশিয়ামের আধিক্য রয়েছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডাবের জল খাওয়া উচিত নয়।
৩। আগে থেকে কিডনির কোনো ক্রনিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই যেকোনও পানীয় নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন।