Warm Drink for Fatty Liver

ফ্যাটি লিভার কমাতে শাক-সব্জির রস খাচ্ছেন? শীতে কিছু চেনা উষ্ণ পানীয়ে কাজ হতে পারে বেশি

লিভারকে ভাল রাখা যে কোনও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অনেকেই লিভার ভাল রাখার জন্য কঠিন পথ বেছে নেন। তবে শীতে খুব চেনা কিছু উষ্ণ পানীয়ও লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০১
উষ্ণ পানীয়ে সুস্থ হবে লিভার?

উষ্ণ পানীয়ে সুস্থ হবে লিভার? ছবি : সংগৃহীত।

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন কোটি কোটি মানুষ। কিছু সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন ৪০-৫০ কোটি মানুষ। অর্থাৎ রাস্তায় দেখা প্রতি তিন জন মানুষের মধ্যে অন্তত এক জন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। আর এই সমস্যা খুব ধীরে ধীরে শরীরকে ঠেলে দিচ্ছে আরও নানা রোগের দিকে। তাই লিভারকে ভাল রাখা জরুরি।

Advertisement

কারণ ব্যাখ্যা করে সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন। তিনি বলছেন, ‘‘লিভার ভাল না থাকলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ যথাযথ ভাবে বেরোবে না। সেই সমস্ত হরমোনও নিঃসৃত হবে না বা কাজে লাগানো যাবে না, যা শরীরে শর্করা ভাঙতে এবং বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগে। আর এই প্রাথমিক কাজগুলি ব্যাহত হলেই চক্রবৃদ্ধির নিয়মে শরীরে দানা বাঁধতে শুরু করবে নানা ধরনের অসুখ।’’

লিভারকে ভাল রাখা তাই যে কোনও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অনেকেই লিভার ভাল রাখার জন্য কঠিন পথ বেছে নেন। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনে শাক-সব্জি-ফলের রস মিলিয়ে বানান ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’। পুষ্টিবিদ লিমা জানাচ্ছেন, লিভার ভাল রাখা অত কঠিন কাজ নয়। এই শীতে খুব চেনা কিছু উষ্ণ পানীয়ও লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে। যেমন—

১। গ্রিন টি

ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী শরীরে জমা হওয়া দূষিত কণা বা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল। যা লিভারে প্রদাহ তৈরি করে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গ্রিন টি-তে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্যাটেসিন ওই ফ্রি র‌্যাডিক্যালকে নিষ্ক্রিয় করে এবং লিভারের কোষকে নানা ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

'ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিন'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত গ্রিন টি খেয়েছেন, তাঁদের লিভারে স্নেহপদার্থ বা ফ্যাটের স্তর কম জমেছে।

২। আদা চা

আদায় রয়েছে ৪০০-রও বেশি জৈবসক্রিয় উপাদান এবং ৪০ রকমের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে হওয়া লিভার সংক্রান্ত একটি গবেষণায় (যা 'হেপাটাইটিস মান্থলি' নামের মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল ) দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আদা খেলে শরীরে ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্স কমে। অর্থাৎ শরীরে ইনসুলিন হরমোন তার নিজস্ব শর্করা ভেঙে শক্তিতে পরিণত করার কাজ পুরোমাত্রায় করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, আদা প্রদাহ কমাতেও অব্যর্থ। তাই প্রতি দিন গরম চায়ে কয়েক কুচি আদা ফেলে খেলে তা প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

৩। কফি

কফি খাওয়া নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকতেই পারে। তবে রোজ এক কাপ করে কালো কফি খেলে তা লিভারের স্বাস্থ্য যে ভাল রাখতে পারে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। এ প্রসঙ্গে আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের পরামর্শের কথা উল্লেখ করে পুষ্টিবিদ বলছেন, ‘‘কফিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনল। যা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ প্রদাহ কমাতেও সাহায্য় করে। কফি যে ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করেছে, তা নিয়ে বহু প্রামাণ্য গবেষণাও রয়েছে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন