ছবি : সংগৃহীত।
হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের রোগ এক দিনে হয় না। দীর্ঘ দিনের অবহেলা, জীবনযাপনের অনিয়ম থেকেই ধীরে ধীরে শরীরে হার্টের রোগের নানা কারণ বাড়তে শুরু করে। যা প্রথম দিকেই চিনে সাবধান হতে পারলে ভবিষ্যতের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হার্টের অধিকাংশ রোগের প্রাথমিক কারণ হল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি। কোলেস্টেরল বাড়ছে নাকি কমছে, তা বোঝার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। আর যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে তবে তা খাওয়াদাওয়ার নিয়ম বদলে নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। চেনা বেশ কিছু শাক-সব্জি রোজের খাদ্যতালিকায় থাকলে তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সব্জি অত্যন্ত কার্যকরী, কারণ এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীর থেকে বাড়তি চর্বি বের করে দিতে সাহায্য করে।
১. ঢেঁড়স
ঢেঁড়সে মুসিলেজ নামের এক ধরনের আঠালো ফাইবার থাকে। হজমের সময় ওই ফাইবার কোলেস্টেরলের সাথে জুড়ে তাকে শরীর থেকে মলের মাধ্যমে বের করে দেয়, ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
২. পালং বা যেকোনও গাঢ় সবুজ শাক
পালং শাক বা মেথি শাকের মতো গাঢ় সবুজ শাকে প্রচুর লুটেইন এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এগুলো ধমনীর দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান শরীরের এলডিএল বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর।
৩. বেগুন
বেগুনে ক্যালোরি অনেক কম এতে ফাইবারও রয়েছে প্রচুর। নিয়মিত বেগুন খেলে তা অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তবে তার জন্য তেলে ভাজা বেগুন খেলে উপকার হবে না। বেগুন সেঁকে বা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে উপকার হতে পারে।
৪. ব্রকলি বা ফুলকপি
ব্রকলি এবং ফুলকপিতে ফাইবারের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। এতে থাকা গ্লুকোসিনোলেটস লিভারকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৫. গাজর
গাজরে থাকা পেকটিন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। কোলেস্টেরলের রোগীরা কাঁচা গাজর স্যালাড হিসাবে খেলে তা রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করবে।