Fungal Infection Spreading

কোভিডের পরে নতুন ভয় মারণ ছত্রাক অ্যাসপারজিলাস, নষ্ট করে দিতে পারে ফুসফুস-কিডনি

মারণ ছত্রাক ছড়াচ্ছে আমেরিকায়। এ দেশেও এমন ছত্রাকের সংক্রমণে ভোগেন অনেকেই। কী ধরনের রোগ হয়? কী ভাবে সাবধান থাকতে হবে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১৩:৪১
A dangerous fungus called Aspergillus fumigatus is rapidly spreading

অ্যাসপারজিলাস হানা দিতে পারে মস্তিষ্কেও, নষ্ট করে দিতে পারে ফুসফুস-কিডনি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

করোনাভাইরাস নিয়ে যতই আতঙ্ক থাকুক না কেন, ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এটি যেমন-তেমন ছত্রাক নয়, যা থেকে শুধু সর্দিকাশি, গলায় ব্যথা বা ডায়েরিয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তালিকায় একে ‘মারণ ছত্রাক’-এরই তকমা দেওয়া হয়েছে। এক বার শরীরে এই ছত্রাকের রেণু ঢুকলেই তা হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হলে অথবা ক্যানসার, হার্টের রোগ, কিডনির অসুখ বা এডস থাকলে, ছত্রাকের সংক্রমণে প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হবে।

Advertisement

আমেরিকা জুড়ে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটেছে, যার নাম ‘অ্যাসপারজিলাম ফিউমিগেটাস’। নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, ফ্লরিডা, টেক্সাস, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়ায় বহু মানুষ এর দ্বারা আক্রান্ত। কেবল আমেরিকায় নয়, ভারতেও এই ছত্রাকের সংক্রমণ আগে ঘটেছে। অ্য়াসপারজিলাসের হানায় এ দেশে অ্যাসপারজিলোসিস নামে এক ধরনের রোগ ছড়ায়, যাতে ফুসফুসের অবস্থা বেহাল হয়ে যায়। মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন রোগী। হাঁপানি বা সিওপিডির রোগীরাই বেশি ভোগেন এই রোগে।

কতটা সংক্রামক অ্যাসপারজিলাস?

উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশেই এই ছত্রাক জন্মায়। তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলেই এদের সুবিধা বেশি। আর্দ্রতা যত বাড়বে, ততই দ্রুত হারে বংশবিস্তার করবে এই ছত্রাক। ছড়িয়ে দেবে একরকম রেণু, যার নাম ‘কোনিডিয়া’। এই রেণু শ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকলেই বিপদ। সরাসরি সেটি শ্বাসনালি দিয়ে চলে যাবে ফুসফুসে এবং গোটা ফুসফুস জুড়ে ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি হবে। ফলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হবে রোগীর।

দেশের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তথ্য় বলছে, অ্যাসপারজিলাস ছত্রাক হার্ট ও কিডনির উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। কেবল তা-ই নয়, মস্তিষ্কেও এই ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। সে ক্ষেত্রে রোগ প্রাণঘাতীও হতে পারে। এ দেশে অ্যাসপারজিলাসের সংক্রমণে আরও এক ধরনের রোগ ছড়াতে দেখা যায়, যার নাম ‘অ্যালার্জিক ব্রঙ্কোপালমোনারি অ্যাসপারজিলোসিস’। যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁরা এই রোগে বেশি ভোগেন। এ ক্ষেত্রে ছত্রাকের রেণু শরীরে ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি করে প্রথমে, তার পরে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্ক, হার্ট ও কিডনিতে।

অ্যাসপারজিলাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। ধুলো-ধোঁয়া যেখানে বেশি, সেখানে মাস্ক পরা উচিত। বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাঁদের বাড়িতে বাগান আছে অথবা গাছপালা বেশি, তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে ভিজে মাটিতে ছত্রাক জন্মাচ্ছে কি না। মাটি থেকেও ছড়ায় অ্যাসপারজিলাসের রেণু। তাই জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে মাটিতে। পাশাপাশি, ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন