Asthma Injection

হাঁপানির কষ্ট কমাতে নতুন ওষুধ আসছে, মাসে মাসে ইঞ্জেকশন নিলেই স্টেরয়েডের প্রয়োজন পড়বে না

হাঁপানির টান কমবে। মাসে মাসে ইঞ্জেকশন নিলে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা সইতে হবে না হাঁপানি, সিওপিডির রোগীদের। নতুন ওষুধ আসছে খুব তাড়াতাড়ি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৮
A new injection could help severe asthma patients to stop oral steroids safely

হাঁপানির টান উঠবে না, নতুন ওষুধ আসছে শীঘ্রই। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হাঁপানি অতি বিষম বস্তু। যাঁরা ভোগেন, তাঁরা এর যন্ত্রণা বিলক্ষণ জানেন। হাঁপানি সারানো যায় না, এর তীব্রতা কমিয়ে অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। হাঁপানির টান বাড়লে অনেক সময়েই স্টেরয়েড নেওয়ার প্রয়োজন হয়। যে সমস্ত ইনহেলার পাওয়া যায়, তাতে স্টেরয়েড যুক্ত ওষুধই বেশি থাকে, যা দিনের পর দিন শরীরে গেলে ওজন বাড়ে, নানা রকম সংক্রামক ব্যাধির আশঙ্কাও দেখা দেয়। হাঁপানির কষ্ট কমাতে স্টেরয়েডের বিকল্প হিসেবে নতুন এক ওষুধ তৈরি করেছেন গবেষকেরা। জানা গিয়েছে, মাসে মাসে ইঞ্জেকশন নিলেই হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, শ্বাসের সমস্যাও ভোগাবে না।

Advertisement

কিংস কলেজ অফ লন্ডনের গবেষকেরা ওষুধটি তৈরি করেছেন যার নাম ‘টেজ়েপেলুমাব’। এটি এক ধরনের অ্যান্টিবডি, যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। ওষুধটির কাজ হবে ফুসফুসের প্রদাহ কমিয়ে হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

হাঁপানিতে শ্বাসনালির প্রদাহ দিন দিন বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মরসুম বদলের সময়ে, ধুলোধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে, অথবা কোনও অ্যালার্জেন (ফুলের রেণু, পশুর লোম, বাতাসে ভাসমান দূষণবাহী কণা) শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকলে প্রদাহ বেড়ে যায়। এতে শ্বাসনালির স্বাভাবিক ব্যাস কমে এবং সংবেদনশীলতা বাড়ে। ফলে ফুসফুসের ভিতরে বাতাস ঢোকা ও বেরোনোর পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। শ্বাসনালির ভিতর মিউকাসের ক্ষরণ বাড়তে বাড়তে তা আরও সঙ্কুচিত হতে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না হলে শ্বাসনালি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। চিকিৎসকেরা অনেক ক্ষেত্রেই বলেন, হাঁপানি বংশগত কারণে হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে যে ভাবে দূষণের পাল্লা ভারী হচ্ছে, তাতে হাঁপানির সমস্যা ঘরে ঘরে। আর হাঁপানি হলে যে স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তা-ও শরীরের জন্য ভাল নয়।

কিংস কলেজের গবেষকেরা ১১টি দেশের ৩০০-র বেশি হাঁপানি রোগীকে ইঞ্জেকশনটি দিয়ে পরীক্ষা করেছেন। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন’ জার্নালে। সেখানে লেখা হয়েছে, অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন যাঁরা নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি রোগীর হাঁপানির টান আর দেখা দেয়নি। প্রতি মাসে ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেক কমেছে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বেড়েছে।গবেষকেরা দাবি করেছেন, স্টেরয়েড ট্যাবলেটের চেয়ে এই ইঞ্জেকশন অধিক মাত্রায় কার্যকরী হবে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হবে না। যত দ্রুত সম্ভব ওষুধটি বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন