tiger Shroff fitness

শূন্যে ভেসে এক ঘায়ে সাত ঘায়েল! টাইগারের এমন ফিটনেসের নেপথ্যে কোন রহস্য? দিনলিপি প্রকাশ্যে

খুব ছোট থেকেই মার্শাল আর্টের প্রতি টান ছিল টাইগার শ্রফের। তাইকন্ডোতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত তিনি। তাই তাঁর ফিটনেস নিয়ে অনেকেরই বিস্ময়ের শেষ নেই। কী ভাবে জ্যাকি শ্রফের পুত্র এমন নমনীয় শরীর, পোক্ত পেশির অধিকারী হলেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:১৯
Actor Tiger Shroff’s fitness secret revealed, know his diet and exercise routine

টাইগারের ফিটনেসের রহস্য়। ছবি: সংগৃহীত।

সুঠাম, সুগঠিত চেহারা। তার উপরে কখনও চোখের নিমেষে হাওয়ায় উড়ে গিয়ে মাটিতে আলতো করে পা রাখেন, কখনও বা দু’পা শূন্যে ভাসিয়ে একাই এক ঘায়ে সাত জনকে ঘায়েল করেন। টাইগার শ্রফের ফিটনেস নিয়ে অনেকেরই বিস্ময়ের শেষ নেই। সব সময়ে যে সে সব দৃশ্য ক্যামেরার কারসাজি, তা-ও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই টাইগারের জিমের ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছেন অনুরাগীরা। কী ভাবে জ্যাকি শ্রফের পুত্র এমন নমনীয় শরীর, পোক্ত পেশির অধিকারী হলেন? দিনযাপন ঠিক কেমন বলিউড তারকার?

Advertisement

সম্প্রতি টাইগারের প্রথম ছবি ‘হিরোপান্তি’র প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার কথায় জানা গেল, খুব ছোট থেকেই মার্শাল আর্টের প্রতি টান ছিল টাইগারের। তাইকন্ডোতে ব্ল্যাক বেল্ট প্রাপ্ত তিনি। ছবির নায়ক হওয়ার শখ জাগার আগে মার্শাল আর্ট নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা ছিল জীবনে। কিন্তু শেষমেশ বাবার পথেই হাঁটেন টাইগার।

শরীরচর্চা তাঁর রুটিনের এক টুকরো অংশ নয়। অভিনয়জীবনে সাফল্য পাওয়ার রাস্তাও নয়। ব্যায়াম, শরীরচর্চা আসলে তাঁর কাছে ‘থেরাপি’-বিশেষ। টাইগার এক বার বলেছিলেন, ‘‘শরীরচর্চাই আমার জীবনে ধ্যানের ভূমিকা পালন করে। মানসিক ভাবে যেমন পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন, যে মুহূর্তে শরীরচর্চা করতে শুরু করি, আমি যেন পুরো সুস্থ হয়ে উঠি।’’

সকালের ব্যায়াম রুটিন

প্রথমে ৪৫ মিনিট একটানা কার্ডিয়ো করেন টাইগার। ট্রেডমিল বা স্টেপমিলে। তার পর নাচ বা কিকবক্সিং করেন।

বিকেলের ব্যায়াম রুটিন

বিকেল বা সন্ধ্যায় কাজের পর খানিক ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে শারীরিক জোর বাড়ানোর প্রশিক্ষণ নেন। তার পর শরীরের বিভিন্ন অংশে জোর বাড়ানোর নির্দিষ্ট ব্যায়াম করতে হয়।

রাতের ব্যায়াম রুটিন

রাতের বেলা খেলাধুলোয় ব্যস্ত থাকেন টাইগার। তা সে ফুটবল হোক বা ক্রিকেট অথবা বাস্কেটবল।

শরীরচর্চা থেকে ছুটি নিতে নারাজ জ্যাকি-পুত্র। পেশির পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন বটে, কিন্তু তার বাইরে ছুটি নেই। টাইগারের বক্তব্য, ‘‘আমি জানি, স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা হয়তো ঠিক উল্টো কথাই বলবেন। কিন্তু আমি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোই। তাতেই কাজ হয়ে যায়।’’ তবে পেশির পুনরুদ্ধারের বিষয়ে উদাসীন নন টাইগার। আর তাই সনা, বরফজলে স্নান এবং ঘুমের বিষয়ে ছাড় নেই।

খাওয়াদাওয়া নিয়েও যত্নবান টাইগার। যা-ই খান না কেন, মনোযোগের অভাব ঘটে না। ‘মাইন্ডফুল ইটিং’-এর অনুশীলন করেন বলি তারকা। তা ছাড়া দিনের শেষে খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম রাখেন টাইগার। প্রোটিন এবং সব্জির উপর ভিত্তি করেই খাদ্যতালিকা ঠিক করা হয়েছে অভিনেতার। আর যখন-তখন ইচ্ছা হলেই মুখ চালানোর অভ্যাস কাটিয়ে উঠেছেন টাইগার। তাতে উপকারও মিলেছে।

Advertisement
আরও পড়ুন