কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়া কমবে কোন বীজে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর ভাল রাখতে খাওয়াদাওয়ার প্রতি সচেতনতা বেড়েছে। কঠোর নিয়ম মেনে চলতে পারলেও খাবারের পাতে ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন অনেকেই। কিন্তু এত কিছু ভাবার মাঝেও বাদ পড়ে যায় অনেক কিছুই। বিশেষত ফাইবার। ডায়েটে ফাইব্রাস ফুড কম পড়ে যাচ্ছে কি না তা আমরা খুব একটা মাথায় আনি না। তাই ফাইবার নিয়ে তেমন সতর্কতাও চোখে পড়ে না। অথচ এর হাত ধরেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হানা দেয় শরীরে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড বা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি নাজেহাল করে। সে ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারই রুখে দিতে পারে এই সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রুখতে ডায়েটে ফাইবার রাখার জন্য অনেকেই রোজ ওট্স, সবুজ শাকসব্জি, ব্রাউন রাইস খান। তবে এগুলির থেকেও বেশি ফাইবার লুকিয়ে যে বীজে, তার নাম হল চিয়া।
চেনা-পরিচিত খাবারগুলির মধ্যে চিয়া বীজেই সবচেয়ে বেশি ফাইবার থাকে, এমনটাই মত হায়দরাবাদবাসী চিকিৎসক পূজা রেড্ডির। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে এবং পেটের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে চিয়াবীজের জবাব নেই। ওট্সের তুলনায় চিয়াবীজে ১০ গুণ বেশি ফাইবার পাওয়া যায়। ৩০ গ্রাম চিয়াবীজে প্রায় ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে। শুধু ফাইবারই নয়, এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে ভরপুর মাত্রায়। হার্ট আর হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও চিয়া বীজ ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন?
চিকিৎসকের মতে রাতের শেষ খাবার হিসাবে চিয়া বীজ খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। পরের দিন সকালে পেট পরিষ্কার হয় সহজেই। পূজা বলেন, ‘‘এক গ্লাস জলে আমি ৩০ গ্রাম চিয়াবীজ মিশিয়ে ঘণ্টা চারেক রেখে দিই। ৭ টার সময় দিনের শেষ খাবার হিসাবে এই পানীয়টি খেয়ে নিই। কখনও কখনও জলের বদলে ল্যাকটোজ় ফ্রি দুধও ব্যবহার করি। এই পানীয় খেলে সকাল পর্যন্ত আর খিদে পায় না। রাতে ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে না, কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই পেটের সমস্যা দূর হয়।’’