Egg Yolk

হার্ট ভাল রাখতে ডিমের কুসুম বাদ দিচ্ছেন, তাতে আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে কি?

খাবারের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল, কোনও ভাবেই রক্ত বা প্লাজ়মার কোলেস্টেরলের উপর প্রভাব ফেলে না, তেমনটাই মত পুষ্টিবিদদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৬
Image of Egg Yolk

— প্রতীকী চিত্র।

উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশটি বাদ দিয়ে খান অনেকেই। তবে খাবারের তালিকায় ‘আনসাং হিরো-’র দলে থাকা এই ডিমের কুসুমের পুষ্টিগুণ অনেক। তেমনটাই মত পুষ্টিবিদদের। ডিমের কুসুম খাওয়া খারাপ, এমন ধারণার কোনও যুক্তিই নেই। কবে থেকে এমন ধারণা শুরু হল, সে দিকে একটু নজর রাখা যাক।

Advertisement

১৯৬৮ সালে ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে বলা হয়েছিল, হার্টের সমস্যা থাকলেও সপ্তাহে সর্বাধিক তিনটি কুসুম-সহ ডিম খাওয়া যেতে পারে। কারণ তাঁরা মনে করতেন, ডিমের কুসুম সরাসরি রক্তে কোলেস্টেরলের উপর প্রভাব ফেলে। পরবর্তীকালে চিকিৎসা সংক্রান্ত যত প্রকার গবেষণা সম্ভব, তার প্রায় সব ক’টিতেই দেখা গিয়েছে, খাবারের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল, কোনও ভাবেই রক্ত বা প্লাজ়মার কোলেস্টেরলের উপর প্রভাব ফেলে না। তাই ডিমের কুসুমে থাকা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল নিয়ে অযথা মাথা ব্যথা হওয়ার কোনও কারণ নেই।

Image of Egg Salad

— প্রতীকী চিত্র।

ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তা না করে বরং পুষ্টিগুণের দিকে নজর রাখা যেতেই পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মাছ কিংবা মাংসের চেয়েও সামগ্রিক ভাবে পুষ্টিগুণ বেশি কিন্তু ডিমে। প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজের উৎস হল এই কুসুমটি। কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২, বি৫, বি৬, বি৯ এবং বি১২। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খুঁজলেও একসঙ্গে এত ভিটামিন অন্য কোনও খাবারে পাওয়া যাবে না। এ ছাড়াও ডিমে রয়েছে জ়িঙ্ক এবং আয়রনের মতো খনিজ, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই পূর্ণবয়স্ক, সুস্থ যে কোনও মানুষই প্রতি দিন একটি করে ডিম খেতে পারেন। কিন্তু হার্ট, কিডনি বা ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল।

Advertisement
আরও পড়ুন