Baby Skin Care

শীত পড়ার আগেই শিশুর ত্বকের যত্ন নিন, কী কী মাখাবেন এখন থেকেই?

শীতের সময়ে ছোটদের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। শুষ্কতার কারণে ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাই শীত আসার আগে থেকেই ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:১৫
As seasons change your babies delicate skin needs extra care

শীতে আসার আগে থেকেই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়। ছবি: এআই।

শিশুর ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই তাদের কোমল ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। বহু বাবা-মা ভাবেন, শুধু শীতকালেই বুঝি ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হয়। গরমকালে নয়। এই ধারণা ভুল।সারা বছরই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে শীতে ছোটদের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। শুষ্কতার কারণে ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাই শীত আসার আগে থেকেই ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

শিশুর ত্বকের যত্ন কী ভাবে নেবেন?

ঘরোয়া কিছু কৌশল জানা থাকলেই শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। সাধারণত তেল-ক্রিমেই আটকে থাকেন শিশুর অভিভাবকরা। কিন্তু রুক্ষতা রুখতে মাথায় রাখতে হয় আরও কিছু উপায়।

এমনিতেই শিশুদের ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়। তাই সব রকম তেল বা ক্রিম মাখানো নিরাপদ নয়। অনেক অভিভাবক সন্তানের জন্যও নিজেদের ব্যবহার করার তেল-ক্রিমই বরাদ্দ করেন। একটু বড় হওয়ার পর তা করলে অত ক্ষতি নেই। কিন্তু অন্তত ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তার ত্বকের যত্ন নিন বেবি প্রোডাক্টেই। প্রতি দিন স্নানের আগে শিশুর ত্বকে ভাল করে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মালিশ করুন। তার পর শিশুকে কিছু ক্ষণ রোদে রাখুন। এতে ত্বক ভিটামিন ডি পাবে। তার পর স্নান করান শিশুকে। শীত বলে স্নান একেবারে বন্ধ করবেন না।

শিশুদের জন্য যে ক্রিম পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করতে পারেন। আর গরমে আর্দ্রতা বেশি বলে ওয়াটার বেসড লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে যদি বাতানুকূল যন্ত্র চলে, তা হলে শোয়ানোর আগে শিশুর সারা গায়ে ভাল করে ক্রিম বা লোশন মালিশ করে দেবেন।

শীতের সময়ে ত্বক বাঁচাতে স্নানের পর অ্যালো ভেরা, দুধ ও মধু মিশিয়ে মাখাতে পারেন। এটিও ময়েশ্চারাইজ়ারের মতোই কাজ করবে। তবে আগে দেখে নেবেন অ্যালো ভেরাতে শিশুর অ্যালার্জি হচ্ছে কি না।

ছোটদেরও সানস্ক্রিন মাখানো জরুরি। ছোটরা বাইরে বেশি ক্ষণ খেলাধুলো করলে সান ট্যান, সান বার্ন, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা যায়। বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন তাই আবশ্যিক। ছোটদের ক্ষেত্রে এসপিএফ ২০ বা ৩০ হলেই যথেষ্ট।

শিশুর বয়স ৫ বছর বা তার বেশি হলে বাড়িতে বানানো ফেসপ্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে মাখাতে পারেন। ওট্‌সের ফেসপ্যাকও ভাল। ওট্‌সের প্রোটিন ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। মৃত কোষ জমে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে গেলে ওট্‌সের প্যাক ত্বককে আর্দ্র রাখবে। দুধের সঙ্গে দু’কাপ ওট্‌সের গুঁড়ো মিশিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। স্নানের আগে মুখে ও সারা গায়ে এই প্যাক লাগিয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করে স্নান করিয়ে দিন।

Advertisement
আরও পড়ুন