Bhagyashrees’s advice on Menopause

ইস্ট্রোজেন কমলে ধাক্কা লাগে হার্টে! হরমোনের গোলমাল থেকে বাঁচতে মহিলাদের কিছু পরামর্শ ভাগ্যশ্রীর

সমাজমাধ্যমে শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে প্রায়ই নানা রকম পোস্ট করেন ভাগ্যশ্রী। কখনও ওজন কমানোর টিপ্‌স দেন, আবার কখনও স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার রেসিপি শেখান। এ বার রজোনিবৃত্তি পর্বে মেয়েদের সমস্যাগুলি নিয়ে নিজের মতামত ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১৩:৫১
Bhagyashree talked about mood swings, hot flashes and exhaustion during Menopause Journey

হরমোনের গোলমাল হবে না, টিপ্‌স দিলেন ভাগ্যশ্রী। ফাইল চিত্র।

মেয়েদের শরীরে হরমোনের ওঠানামা শুরু হওয়া মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। তাতেই ভিতরের কলকব্জার কাজকর্ম সব ঘেঁটে যায়। হরমোনের গোলমাল মানেই দুর্বলতা, ঘন ঘন মেজাজ বদল, ক্ষতি হয় হার্টেরও। রজোনিবৃত্তি পর্ব এসে গেলে এই সব সমস্যা বেড়ে যায়। ওই পর্বে মেয়েদের ঠিক কী ভাবে নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে, সে নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভাগ্যশ্রী।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে প্রায়ই নানা রকম পোস্ট করেন অভিনেত্রী। কখনও ওজন কমানোর টিপ্‌স দেন, আবার কখনও স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার রেসিপি শেখান। এ বার রজোনিবৃত্তি পর্বে মেয়েদের সমস্যাগুলি নিয়ে নিজের মতামত ভাগ করে নিয়েছেন ভাগ্যশ্রী। তিনি নিজে ওই পর্ব দিয়ে যাচ্ছেন। জানিয়েছেন, রজোনিবৃত্তির পর্যায়ে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে। আর ওই হরমোন কমে গেলেই হার্টের উপর প্রভাব পড়ে। তাই রজোনিবৃত্তির সময়কালে মহিলাদের নিয়মিত হার্টের অবস্থা ও রক্তচাপের ওঠানামা পরীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গেই দেখতে হবে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে কি না। ওই খনিজের ঘাটতি হলেই দুর্বলতা বাড়বে। মেজাজও খিটখিটে হতে থাকবে।

রজোনিবৃত্তি পর্বে ভাল থাকার কিছু পরামর্শ

১) শরীরের তাপমাত্রার হেরফের হয় এই সময়ে। হট ফ্ল্যাশের সমস্যা বাড়ে। এর কারণ ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য। মহিলাদের শরীরের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের মাত্রা এলোমেলো হয়ে গেলে বাকি হরমোনগুলিও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তখন শরীর গরম হয়ে ওঠে, নাক-কান-গলার কাছে ঘাম হতে থাকে। মনে হয়, শরীরের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ হচ্ছে। একেই বলা হয় হট ফ্ল্যাশ। এর থেকে বাঁচতে হালকা পোশাক পরা, বেশি করে জল খাওয়া ও রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন ভাগ্যশ্রী।

২) বয়স ৪০ পেরোলে শরীরে মেদ জমে অনেক মেয়েরই। এর পিছনের হরমোনই রয়েছে। তাই এই সময়ে খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করা জরুরি, দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। সেই সঙ্গেই রাতে ৭-৯ ঘণ্টা টানা ঘুমও দরকার।

৩) রজোনিবৃত্তি পর্বে গিয়ে হাড় দুর্বল হতে থাকে। অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে মেয়েদের। সে জন্য এই সময়ে পোস্ত, তিসির বীজ, কুমড়োর বীজ, তিল, নানা রকম দানাশস্য যেমন ওট্‌স, ডালিয়া, কিনোয়া খাওয়া জরুরি। মদ্যপান ও ধূমপানেও রাশ টানতে হবে।

৪) এই সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, রাতে শুয়ে দরদর করে ঘাম হয়। তাই শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রযাপ্ত জল, তরল খাবার ও ডিটক্স পানীয় পান করতে হবে। রোজ সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটিও প্রয়োজন। এতে বিপাকক্রিয়া ঠিকমতো হবে, শরীরে টক্সিন জমতে পারবে না।

Advertisement
আরও পড়ুন