Ganesh Acharya Weight Loss

গণেশের ৯৮ কেজি ওজন কমার নেপথ্যে অক্ষয়! কোন নিয়মে সহজ হয় পথ?

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব গণেশ দিতে চান তাঁর বন্ধু, অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে। সদ্য সে কথাই জানালেন কোরিয়োগ্রাফার। অক্ষয়ের থেকে তা হলে কী কী শিখেছেন গণেশ, যা ওজন ঝরানোর যাত্রাপথে অনুঘটকের কাজ করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৮:৩৪
Choreographer Ganesh Acharya revealed Akshay Kumar helped him lose weight but how

শরীরচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে ৯৮ কেজি ওজন কমান গণেশ। ছবি: সংগৃহীত।

ওজনের সঙ্গে সর্বদা ফিটনেসের সম্পর্ক থাকে না। তার বড় প্রমাণ কোরিয়োগ্রাফার গণেশ আচার্য। নৃত্যশিল্পীর দেহের ওজন এক সময়ে প্রায় ২০০ কেজিতে পৌঁছেছিল। তার পরেও তাঁর দক্ষতা চমকে দিয়েছে মানুষকে দশকের পর দশক। কিন্তু নানাবিধ কারণে ওজন কমানোর পথে হাঁটেন গণেশ। শেষে কোভিডকালে শরীরচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে দেড় বছর পর ৯৮ কেজি ওজন কমান বলিউড তারকা।

Advertisement

তবে গণেশ এর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দিতে চান তাঁর বন্ধু, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে। সদ্য সে কথাই জানালেন কোরিয়োগ্রাফার। অক্ষয়ের থেকে তা হলে কী কী শিখেছেন গণেশ, যা তাঁর ওজন ঝরানোর যাত্রাপথে অনুঘটকের কাজ করেছে। গণেশের কথায়, ‘‘আমি বাঁধনছাড়া, উচ্ছৃঙ্খল ছেলে ছিলাম। অর্থাৎ ভোর ৩টের আগে ঘুমোতে যেতাম না। কাজ করতাম। আমার রুটিনটাই একেবারে অন্য রকম ছিল। ওবেসিটিতে ভুগতাম। কিন্তু অক্ষয় আমায় ফিট থাকতে শিখিয়েছেন। রাতে সময় মতো ঘুমোতে এবং ভোর ভোর উঠতে শিখিয়েছেন। এক কথায়, অক্ষয় আমার যত্ন নিয়েছেন।’’

এর মাধ্যমে ওজন কমানোর যাত্রাপথ খানিক সুগম তো হয়েইছে তাঁর। অর্থাৎ ঘুমোনোর সময় সুস্থ থাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি।

Choreographer Ganesh Acharya revealed Akshay Kumar helped him lose weight but how

গণেশ তাঁর ওজন কমার জন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দিতে চান অক্ষয় কুমারকে। ছবি: সংগৃহীত।

সঠিক সময়ে ঘুমোতে গেলে, ও জেগে উঠলে কী কী ভাবে ওজন কমতে পারে?

‘এশিয়া ওশেনিয়া অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ ওবেসিটি’-র পক্ষ থেকে তিন লক্ষ মানুষকে নিয়ে ২০টি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁদের মধ্যে স্থূলতার ঝুঁকি ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যাঁরা রোজ রাতে বেশি ঘুমান, অর্থাৎ প্রায় ৭-৯ ঘণ্টা, তাঁদের ওবেসিটির সঙ্গে ঘুমের কোনও সম্পর্ক ছিল না।

১. বেশি রাতে ঘুমোতে গেলে মধ্যরাতে খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকেরই। তখন ডায়েট ভেঙে অনেকেই ভাজাভুজি বা মিষ্টি খেতে থাকেন। এতে ওজন বেড়ে যায়।

২. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে বদহজমের সমস্যা দূর হতে পারে। ফলে পাচনতন্ত্র খাবারকে ভাল করে হজম করাতে পারে আর পাশাপাশি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে।

৩. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোলে এবং সকাল সকাল উঠলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। আর সে কারণেই ওবেসিটির সমস্যা কমতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন