ছবি : সংগৃহীত।
দুপুরে অফিসে টিফিন নিয়ে আসেন না? কিন্তু খিদে তো পায়! সেই সময় ভাত খেয়ে পেট ভারী করতে না চাইলে অনেকেই বেছে নেন ইডলি। অফিস পাড়ায় সহজলভ্য এই খাবারে তেল মশলার বালাই নেই। অথচ খেতেও স্বাদু। দক্ষিণী খাবারটি তাই বহু বাঙালি অফিসযাত্রীরই পছন্দের মধ্যহ্নভোজ। প্রশ্ন হল, নিয়মিত ইডলি খেলে কি ওজন বাড়তে পারে? বা যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা কি নিয়মিত দুপুরে ইডলি খাবেন? মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন এর জবাব দিয়েছেন।
পুষ্টিবিদ বলছেন, ইডলি চাল দিয়ে তৈরি বলে অনেকেই মনে করেন এতে শর্করা বেশি। তাই খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইডলি খেলে ওজন বৃদ্ধির চেয়ে বরং ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
ইডলি কেন ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে?
কম ক্যালোরি: ইডলি ভাজা নয়। এটি ভাপিয়ে তৈরি করা হয়, তাই এতে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের মাত্রা খুব কম থাকে।
সহজে হজম: এটি অত্যন্ত হালকা খাবার। তাই সহজেই হজম হয়। আর যে খাবার সহজে হজম হয় তা বিপাকের হার ভাল রাখতে সাহায্য করে। যা পরোক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
প্রোটিন ও ফাইবার : ইডলি সাধারণত চাল ও ডাল দিয়ে তৈরি হয়। অর্থাৎ এতে আছে ফাইবার এবং প্রোটিন। ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে, প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এটিও পরোক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি
পরিমাণ: অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া ভাল নয়। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে অর্থাৎ ৫-৬টি ইডলি খান, তবে যেকোনো খাবারের মতোই এ থেকেও ক্যালোরি বাড়তে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হবে।কী ভাবে বানানো হচ্ছে: ইদানীং ইডলিকেও ভেজে, মশলা, চিজ়, চাটনি ইত্যাদি দিয়ে সুস্বাদু বানিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। ওই ধরনের মশলাদার, ভাজা বা চিজ় দেওয়া ইডলি স্বাস্থ্যকর নয়।
ডায়েট এবং এক্সারসাইজ: শুধুমাত্র একটি খাবারের উপর ওজন কমা বা বাড়া নির্ভর করে না। সামগ্রিক ডায়েট এবং নিয়মিত শরীরচর্চা এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।