শ্যামাচালের ভাতে কমবে ডায়াবিটিস, পিসিওএস? ছবি : সংগৃহীত।
দুপুরে বা রাতে এক বাটি ঝরঝরে, গরম সাদা ভাত। বেশির ভাগ বঙ্গসন্তানের কাছেই এটি স্বস্তির খাবার, তৃপ্তির খাবার। অথচ সেই ভাতেই রাশ টানতে হয় ডায়াবিটিস হলে। এমনকি, কেউ ওজন কমাতে চাইলে, তাঁকেও দৈনিক ভাত খাওয়ার পরিমাণ বেঁধে দেন পুষ্টিবিদ। এক কাপ কি বড়জোর দেড়কাপ। পেট ভরানোর জন্য তাই অনেকেই ভাতের বিকল্প হিসাবে বেছে নেন কিনোয়া বা ব্রাউনরাইস। তবে এক পুষ্টিবিদ বলছেন, ভাতের বদলে শ্যামা চালের ভাত খেলে উপকার অনেক বেশি।
শ্যামাচালের ভাত এ দেশে অতি পরিচিত দানাশস্য। কিনোয়া বা ব্রাউন রাইসের সঙ্গে পরিচয় ঘটার বহু আগে থেকে শ্যামাচালের ভাত খাওয়ার চল ছিল দেশে তো বটেই এ বঙ্গেও। পুণের পুষ্টিবিদ মোহিতা মাসক্যারেনহাস জানাচ্ছেন, শ্যামা চালের ভাত গুণেও কিনোয়া বা ব্রাউন রাইসের চেয়ে কিছু কম নয়। কারণ তাতে শুধু ফাইবারই বেশি আছে, তা নয়। তার পাশাপাশি, প্রোটিন এবং নানা ধরনের উপকারী খনিজও রয়েছে।
কী কী গুণ রয়েছে শ্যামা চালের ভাতে?
১। মোহিতা জানাচ্ছেন এ চালের ভাতে প্রায় দ্বিগুণ বেশি প্রোটিন, এক বাটি ভাতে ৩০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়।
২। ভাতের থেকে অনেক বেশি ফাইবার, প্রতি বাটিতে ৮ গ্রাম ফাইবার থাকে। পাশাপাশি, সিম্পল কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম। ক্যালোরিও অনেক কম।
৩। এ ছাড়া শ্যামা চালের ভাতে রয়েছে আয়রন, মেয়েদের জন্য জরুরি ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং বিভিন্ন ধরনের বি ভিটামিন।
৪। মোহিতা বলছেন, ‘‘ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তো বটেই পিসিওএসের সমস্যায় এমনকি, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারে শ্যামাচালের ভাত।’’
কী ভাবে খেলে উপকার?
১। ওজন কমানোর জন্য অথবা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য শ্যামাচালের ভাত বানানোর সময় তাতে পনির, সয়াবিন অথবা যেকোনও ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, মুরগির মাংস দিতে বলছেন পুষ্টিবিদ। সঙ্গে দইয়ের রায়তা থাকলে ওজন কমানোর জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে।
২। ফাইবারের মাত্রা বাড়িয়ে নিতে এতে নানা রকম সব্জিও দেওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন তিনি।