Anjaneyasana Benefits

সিঁড়ি ভাঙতে গেলে টনটনিয়ে ওঠে হাঁটু, ফুলে যায় পা, সমাধান লুকিয়ে যোগাসনের এই প্রাচীন পদ্ধতিতে

জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাবের মতো বিভিন্ন কারণে ৩০ থেকে ৫০ বছরেও হাঁটুর ব্যথা কাবু করছে। এর থেকে মুক্তি পেতে যোগাসন অন্যতম ভাল উপায়। নিয়ম করে অভ্যাস করতে পারে অঞ্জনেয়াসন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ০৯:৫৩
অঞ্জনেয়াসন কী ভাবে অভ্যাস করবেন?

অঞ্জনেয়াসন কী ভাবে অভ্যাস করবেন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।

হাঁটুর ব্যথায় কাবু এখন অনেকেই। সে বয়স ত্রিশ হোক, বা ষাট। কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকার পর উঠতে গেলে ব্যথা, বসে থেকে দাঁড়াতে গেলে ব্যথা, সিঁড়ি ভাঙতে গেলেও টনটনিয়ে ওঠে হাঁটু। এমন সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই সারা দিন বসে বা দাঁড়িয়ে কাজে ফুলছে পা। মেদ জমছে কাফ মাসলে। পেট, কোমর ও নিতম্বের মেদও বেড়ে চলেছে। এখন কম বয়সেই অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের। রোগটা যত বাড়তে থাকে, কব্জি, হাঁটু, গোড়ালি, কনুই, কাঁধে ব্যথা বাড়তে থাকে। আগে ছিল বয়সজনিত সমস্যা। কিন্তু এখন জীবনযাপনের ধরন, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাবের মতো বিভিন্ন কারণে ৩০ থেকে ৫০ বছরেও ব্যথা কাবু করছে। এর থেকে মুক্তি পেতে যোগাসন অন্যতম ভাল উপায়।

Advertisement

হাঁটুর ব্যথা হোক বা শরীরের নিম্নাংশে অতিরিক্ত মেদ জমার সমস্যা হোক, যোগাসনের একটি প্রাচীন পদ্ধতি সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। এর নাম অঞ্জনেয়াসন। রামায়ণ অনুযায়ী অঞ্জনা (মতান্তের অঞ্জনি) ছিলেন হনুমানের মা। মনে করা হয়, সেখান থেকেই যোগাসনের এই বিশেষ ভঙ্গির নামকরণ করা হয়েছে। এই আসনের ভঙ্গি দেখতে অনেকটা ত্রয়োদশীর চাঁদের মতো, তাই অনেকে এই আসনকে ‘ক্রিসেন্ট মুন পোজ়’ নামেও চেনেন। আবার ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা একেই ‘লো লাঞ্জ পোজ়’ বলেন।

কেন করবেন অঞ্জনেয়াসন?

১) হাঁটুর ব্যথা দূর হবে নিয়ম করে এই আসন অভ্যাস করলে।

২) পা, নিতম্ব ও কোমরের মেদ দূর করতে কার্যকরী এই আসন।

৩) শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৪) দীর্ঘ সময় বসে থেকে নিতম্ব ও পায়ের পেশি অসাড়তা বাড়লে, আসনটি অভ্যাস করতে পারেন।

৫) অঞ্জনেয়াসন খুব ভাল স্ট্রেচিংয়ের একটি পদ্ধতি। ছোটরাও অভ্যাস করতে পারে এই আসন।

কী ভাবে করবেন?

· প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রাখতে হবে। দুই হাত রাখুন কোমরে।

· এ বার প্রথমে ডান পায়ের পাতাটি শরীরের ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে রাখুন। গোটা শরীরটাকেই ধীরে ধীরে ডান দিকে ঘুরিয়ে নিন।

· ডান হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। ডান পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে।

· শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ পা পিছনের দিকে প্রসারিত করতে হবে।

· শ্বাস নিতে নিতে দু’হাত মাথার উপরের দিকে তুলুন। দু’টি হাতের তালু একসঙ্গে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন মাথার ঠিক উপরে।

· শরীরের উপরিভাগ যতটা সম্ভব হেলিয়ে দিন পিছনের দিকে। এই ভঙ্গিমায় থাকতে হবে ৩০ সেকেন্ড।

· তার পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার উল্টো দিকের, অর্থাৎ, বাঁ পায়ে একই ভাবে অভ্যাস করতে হবে এই আসন।

কারা করবেন না?

হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।

মেরুদণ্ডে কোনও আঘাত থাকলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।

হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে এই আসন অভ্যাস করবেন না।

Advertisement
আরও পড়ুন