signs of kidney disease

কিডনির সমস্যা শনাক্তকরণে সাহায্য করে প্রস্রাব, কোন কোন বিষয়গুলি জেনে রাখা উচিত?

প্রস্রাবের বর্ণ, গন্ধ এবং পরিমাণ কিডনির স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক নির্দেশ করতে পারে। লক্ষণগুলি জানা থাকলে সময়ে বিপদ এড়ানো সম্ভব।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৪
Paying close attention to your urine can help protect your kidney health

প্রতীকী চিত্র।

কিডনি দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে এবং তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু অনেক সময়েই কিডনির সমস্যা আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের বর্ণ, গন্ধ বা পরিমাণ কিডনির সমস্যা বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement

প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য জানা সম্ভব। ‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন’ মূলত প্রস্রাবের তিন ধরনের প্রকৃতি এবং তার অর্থ বিশ্লেষণ করেছে।

১) বর্ণ এবং স্বচ্ছতা: অর্থাৎ মূত্র হলুদ, ধোঁয়াটে না কি কালচে।

২) ঘনত্ব: মূত্রের ঘনত্বের মাধ্যমে দেহে জলের ভারসাম্য বোঝা যায়।

৩) পিএইচ-এর মাত্রা: মূত্রের মধ্যে অ্যাসিডের উপস্থিতির মাধ্যমে কোনও সংক্রমণ বা পুষ্টি উপাদানের অভাব নির্ধারণ করা সম্ভব।

৪) অনুবীক্ষণ দ্বারা পরীক্ষা: গবেষণাগারে মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে জীবাণু, লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকা বা সংক্রমণ সম্পর্কে জানা সম্ভব।

প্রস্রাব এবং কিডনির স্বাস্থ্য

১) মূত্রের রং যদি গাঢ় খয়েরি হয়, তা হলে ‘হেমাচুরিয়া’ হতে পারে। কিডনি বা মূত্রনালির কোনও অংশ ঠিকমতো কাজ না করলে এই পরিস্থিতি হতে পারে।

২) মূত্রের সঙ্গে যদি ফেনা নির্গত হয়, তা হলে বুঝতে হবে, মূত্রের মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিকে অ্যালবুমিনুরিয়া বলা হয়। কিডনি দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বার করে রক্তে প্রোটিনের ধারা অব্যাহত রাখে। কিন্তু কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে তখন মূত্রের সঙ্গে দেহের অতিরিক্ত প্রোটিন মিশে যেতে পারে।

৩) মূত্র থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। সাধারণত দেহে জলশূন্যতা তৈরি হলে বা বিশেষ কয়েকটি খাবার থেকে মূত্রে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। অধিক পরিমাণ জলপান সত্ত্বেও যদি দুর্গন্ধ তৈরি হয়, তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

কিডনির সমস্যা শনাক্তকরণ

১) যাঁরা সুগার, প্রেশার এবং বার বার মূত্রনালির সংক্রমণে ভোগেন, তাঁদের কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

২) অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খাওয়া এবং কম জলপানের অভ্যাস কিডনির সমস্যা তৈরি করে।

৩) সুস্থ কিডনির জন্য ৬ মাস অন্তর এক বার করে মূত্র পরীক্ষা করানো উচিত।

৪) মূত্রত্যাগের সময়ে কোনও অস্বস্তি বা জ্বালা ভাব কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনার দিকে নির্দেশ করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে কিডনিতে গুরুতর সংক্রমণও হতে পারে।

৫) রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক বার মূত্রত্যাগের বেগ তৈরি হলে নেপথ্যে কিডনির সমস্যা থাকতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন